
ইয়েমেনের ওপর মার্কিন ও যুক্তরাজ্যের বিমান হামলার কারণে সৃষ্ট চরম উত্তেজনার জের ধরে এবার লোহিত সাগর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করল ব্রিটিশ জ্বালানি কোম্পানি শেল।
এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের প্রধান অংশীদার আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সরকারের বিরোধ চরমে পৌঁছায় এ ব্যবস্থা নিয়েছে শেল।
সম্প্রতি লোহিত সাগরে ইসরাইলগামি শেলের একটি তেল ট্যাংকারে অজ্ঞাত ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়। শেলের আগে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম বা বিপি লোহিত সাগর পথে তার সমস্ত যাতায়াত স্থগিত করেছে।
এশিয়া থেকে পণ্য বহন করে ইউরোপে নেয়ার সংক্ষিপ্ত রুট হচ্ছে লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল। কিন্তু হুথিদের হামলার মুখে এই রুট থেকে বিশ্বের বহু বড় বড় শিপিং কোম্পানি তাদের জাহাজ সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। চলতি মাসের গোড়ার দিকে শিপিং জায়ান্ট মায়ের্স্ক ঘোষণা করে, তারা লোহিত সাগর ও সুয়েজ খালের পরিবর্তে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে তাদের জাজাজ চলাচল করবে। ইয়েমেনের হামলার ভয়ে ইসরাইলি শিপিং কোম্পানিগুলো যুদ্ধের শুরু থেকেই লোহিত সাগর দিয়ে আর কোনো জাহাজ পাঠায়নি।
গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ করতে তেল আবিবকে বাধ্য করার জন্য ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা এতদিন কেবল ইসরাইলি মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামি জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু গত শুক্রবার ইয়েমেনের বিভিন্ন অবস্থানে আমেরিকা ও ব্রিটেন যৌথভাবে হামলা চালানোর পর হুথিরা বলেছে, এখন থেকে ইসরাইলের পাশাপাশি মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজগুলিতেও হামলা করা হবে। কার্যত সে হুমকির পর শেল এ ব্যবস্থা নিল।
শুক্রবারের ইঙ্গো-মার্কিন হামলার পর আমেরিকা আরো কয়েক দফায় ইয়েমেনে হামলা চালায়। তবে ব্রিটিশ সরকার বলেছে, তারা ইয়েমেনে আপাতত আর কোনো হামলায় অংশ নেবে না। অন্যদিকে স্পেন ও ফ্রান্স সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে লোহিত সাগরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সে তারা অংশ নেবে না।
সূত্র: পার্সটুডে
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]