মার্কিন নাগরিক আভা লুইস যিনি পেশায় একজন মডেল। সেই সুবাদে সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় তিনি। জীবনে কী ঘটছে, নিয়মিত সেই আপডেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাতে থাকেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকমাস আগে এক ভিডিওতে নিজের সম্পর্ক ভাঙার কথা জানান আভা। এরপরই প্রতিশোধ নিতে তিনি ঠিক কী করেছেন সেই কথাও ভিডিওতেই বলেন। আসলে সম্পর্কে থাকাকালীন প্রেমিকের জীবনের খুঁটিনাটি প্রায় সবই জানতেন আভা। এমনকি তিনি কত টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছেন, সেসবও আভার অজানা ছিল না।

এদিকে মার্কিন মুলুকে বরাবরই কর ফাঁকি দেয়ার মতো অপরাধকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়। ধরা পড়লেই মোটা টাকা জরিমানা, কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তাই নয়, কেউ কর ফাঁকি দিয়েছে সেই তথ্য যদি অন্য কেউ আয়কর অফিসে জানান, তাহলে সেই ব্যক্তিকে মোটা টাকা পুরস্কারও দেয়া হয়।

এই ব্যবস্থারই সুযোগ নেন আভা। একে তো প্রেমিক দীর্ঘদিন পাত্তা দিচ্ছিলেন না বলে বেজায় চটে ছিলেন, তার ওপর আবিষ্কার করেন, প্রেমিক অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এরপরই অবশ্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন আভা। কিন্তু এতেও তার রাগ কমেনি। তাই সম্পর্ক ভাঙার কয়েকদিনের মধ্যেই সোজা হাজির হন আয়কর অফিসে।

প্রাক্তন প্রেমিকের কর ফাঁকির যাবতীয় তথ্য সেখানে জমা দেন। সেসব দেখে তদন্তে নামে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসাররা। দেখা যায়, আভা যা অভিযোগ করেছেন তার সবটাই সত্যি। তখনই তার প্রাক্তন প্রেমিক ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।

এদিকে নিয়ম মতো কর ফাঁকির তথ্য জমা দেয়ার পুরস্কার হিসেবে আভাকে এক লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা) দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনাও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন আভা। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, তার প্রাক্তন প্রেমিক যখন শাস্তি ভোগ করবে, তখন তাকে ধরিয়ে দেয়ার পুরস্কারের টাকায় তিনি আনন্দ করবেন।

বিবার্তা/এমজে