ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি বর্ধিত পরিবারের ৭৬ সদস্য নিহত হয়েছে বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা শনিবার জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছিলেন, গাজায় কোথাও এখন নিরাপদ স্থান নেই এবং ইসরায়েলের চলমান আক্রমণ মানবিক সহায়তা বিতরণে 'বিশাল বাধা' তৈরি করছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের একটি ভবনে শুক্রবারের হামলাটি ছিল ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ। তিনি নিহতদের নামের একটি আংশিক তালিকাও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মুগারাবি পরিবারের ১৬ জন প্রধান কর্তাসহ নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির দীর্ঘদিনের কর্মী ইসাম আল মুগরাবি, তার স্ত্রী এবং তাদের পাঁচ সন্তানও নিহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ডক্টরস উইদাউট বর্ডার এক টুইটে বলেছে, ‘যুদ্ধের দুই মাসেরও বেশি সময় পরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে ওই অঞ্চলের উত্তরাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে মৃত এবং আহতরা প্রায় প্রতিদিনই আসতে থাকে। গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য তার দীর্ঘ দিনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, শুক্রবারের প্রস্তাবটি যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করবে। তবে গাজার জনগণের জন্য চলমান দুর্ভোগ থামাতে অবিলম্বে আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ইসরায়েলের আকাশ ও স্থলপথে চালানো এই নৃশংস সামরিক অভিযানে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত। এমনকি প্রায় ৬ লাখ মানুষ চরম দুর্ভিক্ষে রয়েছে।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]