এআই এর তৈরি নিউজ প্রেজেন্টার খবর পড়ল টেলিভিশনে
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫৯
এআই এর তৈরি নিউজ প্রেজেন্টার খবর পড়ল টেলিভিশনে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্বে দ্রুত গতিতে অ্যাডভান্স হচ্ছে প্রযুক্তি। আর এই যাত্রায় কার্যত চালকের ভূমিকা রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যার উপর ভর করে নিজেদের পরিষেবা আরও গুছিয়ে তুলছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। বর্তমানে ওপেন এআই এর দুনিয়ায় শিরোনামে রয়েছে চ্যাট জিপিটি (Chat GPT) যা আর্টফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক একটি সার্চ টুল।


জনপ্রিয়তা বাড়ছে চ্যাট জিপিটির মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) টুলের। আগামী দিনে কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে কোন কোন ক্ষেত্রে বিপ্লব আসবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। শুধু প্রযুক্তি সংক্রান্ত চাকরিক্ষেত্রে নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতে ছড়ি ঘোরাতে পারে এআই।


এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে সংবাদ সঞ্চালনায় বিপ্লব আনল একটি টেলিভিশন চ্যানেল। ভারতের ওড়িশার এই টিভি চ্যানেলটিতে খবর পড়বেন এআই সঞ্চালিকা। এই পদক্ষেপ ভারতজুড়ে সাড়া ফেলেছে।


৯ এপ্রিল, রবিবার ওড়িশার প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট খবরের চ্যানেল নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে। প্রকাশ্যে এলো সে-রাজ্যের প্রথম এআই দ্বারা চালিত সংবাদ সঞ্চালিকা। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এআই নিউজ অ্যাঙকরকে সামনে আনা হয়।


নিউজ অ্যাঙ্কর লিসাকে সকলের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন চ্যানেলের কর্ণধার। ওড়িশা টেলিভিশন লিমিটেড (ওটিভি)র অন্যতম কর্ণধার জাগি মাঙ্গত পণ্ডা এদিন বলেন, 'একটা সময় ছিল যখন কম্পিউটার একটি আশ্চর্যজনক জিনিস ছিল। কিন্তু সময় বদলেছে এবং আজকাল মানুষ ইন্টারনেটেই বেশি সময় ব্যয় করছে। ওড়িশার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংবাদ উপস্থাপক প্রবর্তন করে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করল এই চ্যানেল।'


তিনি আরও বলেন, 'টেলিভিশন সম্প্রচারে এআই-এর ব্যবহার সবেমাত্র শুরু হয়েছে এবং সেই কারণে, এআই নিউজ অ্যাঙ্কর লিসার মাধ্যনে নতুন নতুন মাইলফলক তৈরি হবে। লিসা ফ্রি-টু-এয়ার আঞ্চলিক টেলিভিশন সম্প্রচারের দুনিয়ায় প্রথম এআই অ্যাঙ্কর।'


২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ওপেন এআই লঞ্চ করেছিল চ্যাট জিপিটি। এরপর চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে লঞ্চ হয়েছে গুগল বার্ড এবং মাইক্রোসফট বিং।


প্রযুক্তির কথা বললে এমন অনেক প্রযুক্তি এসেছে যার কারণে মানুষ সময়ে সময়ে তাদের চাকরি হারিয়েছে তবে অনেকে নতুন চাকরির ক্ষেত্রও তৈরি করে প্রযুক্তি। এই জন্য চ্যাট জিপিটির কারণে অনেকে চাকরি হারাতে হতে পারে। তবে বিস্তারিতভাবে যদি দেখা যায় এর কারণে কোনো মানুষের চাকরি ঝুঁকিতে নেই। কারণ এটি দ্বারা প্রদত্ত উত্তরগুলি 100% সঠিক নয়। তবে এটা হতে পারে যে আগামী সময়ে চ্যাট জিপিটির টিম এটির উপর কঠোর পরিশ্রম করে এবং এটিকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত করার চেষ্টা করবে।এমন পরিস্থিতিতে এটি বিভিন্ন লোকের চাকরিও শেষ করতে পারে। যদি এটি ধারাবাহিকভাবে আপডেট হয় তবে এর কারণে এমন একটি চাকরি শেষ হতে পারে যেখানে প্রশ্নোত্তর সম্পর্কিত কাজ হয় যেমন কাস্টমার কেয়ার, কোচিংসেন্টার ইত্যাদি।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com