সিরিয়ায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে বলে মনে করছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ রেড ক্রস (আইসিআরসি)।
আইসিআরসি বলছে, সিরিয়ায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার অবকাঠামো ভেঙে পড়ার ঝুঁকি একটি উদ্বেগের বিষয়।
২০১১ সালের শুরু থেকে সিরিয়া ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হয়। শার আল-আসাদ সরকার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ দমন করায় পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। মধ্যপ্রাচ্যে আইসিআরসির আঞ্চলিক পরিচালক ফ্যাব্রিজিও কার্বোনি বলেন, সিরিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ১০তম বছরে পড়েছে। দেশটির সংঘাতে ৫ লাখের বেশি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়েছে। আনুমানিক এক কোটি ৩০ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। ৬২ লাখের বেশি সিরিয়ান অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এবং ৫৬ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে লেবানন, জর্ডান এবং তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে।
সিরিয়ার সংঘাতে যুক্ত হয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দল। সিরিয়ান সরকার, সিরিয়ার বিদ্রোহী, আইএস, আল-কায়েদা, কুর্দি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী সংগঠন, হিজবুল্লাহসহ বিদেশি মিলিশিয়া দেশটির দখলীয় অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যয়বহুল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।
রাশিয়া, ইরান, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছে। অতি সম্প্রতি আইএসআইএসের পুনরুত্থান এবং সংঘাতের ফলে বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়ের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে। বর্তমানে সংঘাত সিরিয়ার স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]