সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে দুই মাসের লড়াইয়ের কারণে বিশ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা সতর্ক করেছেন, দারফুর শহরে ক্রমবর্ধমান হামলা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে পরিণতি পেতে পারে।
গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত সুদান। দেশটির রাজধানী খার্তুম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে প্রকাশ্য লড়াই শুরু হওয়ার পর মাসের পর মাস তা অব্যাহত আছে।
রাজধানী দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশে বুধবারও লড়াই হয়েছে। সুদানের ডক্টরস সিন্ডিকেটের মতে, গত সোমবার পর্যন্ত অন্তত ৯৫৯ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭৫০ জন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মতে, নৃশংস সংঘর্ষের কারণে সুদানের অভ্যন্তরে নিরাপদ এলাকায় ১৬ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আরও প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার লোক প্রতিবেশী দেশ মিশর, দক্ষিণ সুদান, চাদ, ইথিওপিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এবং লিবিয়ায় পালিয়ে গেছে।
পশ্চিম দারফুরের প্রাদেশিক রাজধানী জেনিনায় চলমান সংঘর্ষে বহু হতাহত হয়েছেন। গত এপ্রিলে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে শহরের হাসপাতালগুলো পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্যমতে, সুদানের ১৮টি প্রদেশের সবকটিই বাস্তুচ্যুতির সম্মুখীন হয়েছে। খার্তুমের বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা মোট বাস্তুচ্যুত জনগণের প্রায় ৬৫ শতাংশ। এর বাইরে পশ্চিম দারফুরের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুৎ হয়েছে।
জেনিনায় আরএসএফ এবং মিত্র আরব মিলিশিয়ারা গত সপ্তাহে শহরজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের মতে, কয়েকশ লোককে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। জেনিনার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক ডজন নারী পালানোর চেষ্টা করার সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
সুদানে জাতিসংঘের দূত ভলকার পার্থেস বলেছেন, জেনিনায় যুদ্ধ একটি জাতিগত সংঘাতে রূপ নিয়েছে। এখানে আরব মিলিশিয়া এবং আরএসএফ ইউনিফর্মেযুক্ত সশস্ত্র ব্যক্তিরা বেসামরিক অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]