ইউক্রেনীয় সেনারা চারপাশ ঘিরে বাখমুতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হানা মালিয়ার। তিনি পূর্বের এই শহরটিকে 'শত্রুতার কেন্দ্রস্থল' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে এটি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বহুল প্রতীক্ষিত ‘পাল্টা আক্রমণ’ কিনা, তা স্পষ্ট করেননি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
অন্যদিকে সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে-তারা দোনেৎস্কে একটি বড় ইউক্রেনীয় হামলা প্রতিহত করেছে। এ ছাড়া রাশিয়া আরও দাবি জানায়, ২৫০ ইউক্রেন সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং তাদের ১৬টি ট্যাংক, তিনটি পদাতিক যুদ্ধের যান এবং ২১টি সাঁজোয়া যুদ্ধ যান ধ্বংস করেছে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে সোমবার হান্না মালিয়ার দাবি করেছেন, কঠোর প্রতিরোধ ও শত্রুরা তাদের অবস্থান ধরে রাখার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমাদের সামরিক বাহিনী অগ্রসর হয়েছে। বাখমুতে অগ্রসরে সেনাদের ধন্যবাদ জানান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, শত্রুরা জানে ইউক্রেনীয় বাহিনী জিতবে।
বাখমুতের দখল নিয়ে কয়েক মাস ধরেই দুই দেশের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে। কৌশলগত বিচারে বাখমুতের গুরুত্ব খুব সামান্য হলেও এই শহর কিয়েভ এবং মস্কো উভয়ের জন্য প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
গত মাসে রুশ ও সশস্ত্র ভাড়াটে ওয়াগনার যোদ্ধাদের হাতে বাখমুতের পতন ঘটে। মস্কোর প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে শহরটির নিয়ন্ত্রণ বুঝিয়ে দেয় তারা। কয়েকদিনের মাথায় বাখমুতের উত্তর এবং দক্ষিণে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গা থেকে সাফল্যের খবর আসছে।
সম্প্রতি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া বাখমুতের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা-এমন দাবি করে মস্কোর ভাড়াটে ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তিনি বলেন, বাখমুতের বেরখোভা পুনরুদ্ধার করেছে তারা। ফলে এলাকাটি ছেড়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]