শিরোনাম
জাপানের নাগাসাকি উপকূলে জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ১৮
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৪৮
জাপানের নাগাসাকি উপকূলে জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ১৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জাপানের নাগাসাকি উপকূলে বিশাল একটি জাহাজ ডুবে অন্তত ১৮ জন নিখোঁজ হয়েছে। শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান। ওই জাহাজে থাকা ক্রুদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।


কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিরুপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে জাহাজটি ডুবে যায়।


জাপানের কোস্টগার্ডের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৬ হাজার ৫৫১ টন ওজনের ‘জিনতিয়ান’ নামের জাহাজটির ৪ জন ক্রুকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় নিকটবর্তী জাহাজগুলো। এখনো আরও ১৮ জন নিখোঁজ আছেন। তাদের উদ্ধারে চলছে অভিযান। উদ্ধারকৃত ৪ জনই চীনের নাগরিক।


জাপানের বার্তাসংস্থা কয়োদো জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের দিকে জিনতিয়ান জাহাজ থেকে বার্তা পাঠানো হয়। এর চার ঘণ্টা পর জাহাজটি ডুবে যায়।


জাহাজ থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, তাদের জাহাজ কাত হয়ে গেছে এবং ভেতরে পানি ঢুকে যাচ্ছে।


জাপানি কোস্টগার্ড জানিয়েছে হংকংয়ের পতাকাবাহী এ জাহাজটিতে ২২ জন ক্রু ছিলেন। এরমধ্যে ১৪ জন চীনের নাগরিক। বাকি ৮ জন মিয়ানমারের।


উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজটির ক্যাপ্টেন স্যাটেলাইট ফোনে তাদের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন স্থানীয় সময় বুধবার রাত ২টা ৪১ মিনিটে। তখন ক্যাপ্টেন জানান, তারা জাহাজটি থেকে বেরিয়ে যাবেন।


দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান তখন তারা দেখতে পান জাহাজটি পুরোপুরি উল্টে গেছে। সেখানে গিয়ে ক্রুদের খুঁজতে থাকেন তারা। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি।


জানা গেছে, জাহাজটিতে কাঠ ছিল। কী কারণে এটি ডুবে গেল সেটি এখনো জানা যায়নি।


জাপানের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, যখন জাহাজটি থেকে ক্রুরা উদ্ধারের আকুতি জানান তখন সেখানে প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছিল। এখন নিখোঁজদের উদ্ধারে ওই স্থানে টহল নৌকা এবং বিমান উড়ছে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে টহল নৌকাগুলোর।


বিবার্তা/বর্ষা/কেআর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com