যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নতুন করে স্পর্শকাতর স্যাটেলাইট ও ম্যাপ ডাটা বিনিময়ের চুক্তি সই করেছে।মঙ্গলবার এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পারকে নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেইও নয়া দিল্লি আসেন। এরপর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাথে আলোচনা করেন পম্পেও।
আলোচনার পর পরই পম্পেইও সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দুই দেশ এবং বৃহত্তর অর্থে মুক্ত বিশ্বের নাগরিকদের আরো ভালোভাবে রক্ষার জন্য আমাদের গণতন্ত্রগুলোতে বড় বড় ঘটনা ঘটছে। আমাদের নাগরিকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হারে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি গণতন্ত্র, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, নৌচলাচলের স্বাধীনতা, অবাধ ও উন্মুক্ত ভিত্তি, সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি বন্ধুপ্রতীম নয়।
সংবাদ সম্মেলনে এস্পার বলেন, বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট অন জিওপ্যাশিয়ার কোঅপারেশন নামের নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তিটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মাইলস্টোন। এটি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্র আরো জঙ্গিবিমান ও ড্রোন বিক্রি করতে চায় ভারতের কাছে। এই চুক্তির ফলে ভারত টোপোগ্রাফিক্যাল, নটিক্যাল ও অ্যারোনটিক্যাল তথ্য পাওয়ার সুযোগ পাবে ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র ও সশস্ত্র ড্রোনকে টার্গেট করার ক্ষেত্রে এসব তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হবে।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বিইসিএ চুক্তি সই হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর বিইসিএ চুক্তি সইয়ের পরপরই এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতে উন্নত সামরিক সম্ভার, প্রযুক্তি ও জ্ঞান হস্তান্তর দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে।ভারতের বিপুল অস্ত্র সংগ্রহ ও পরমাণু শক্তি সম্প্রসারণের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করবে।
এদিকে মার্কিন প্রতিনিধিদের নয়াদিল্লি সফরের প্রাক্কালেই যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।বুধবার (২৮ অক্টোবর) নয়াদিল্লিস্থ চীনা দূতাবাস বলেছে, ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যায় তৃতীয় পক্ষের কোনো জায়গা নেই।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশে আমেরিকা নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে চাচ্ছে। সীমান্ত সমস্যা ভারত ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সমস্যা।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) থেকে সেনা সরাতে এবং স্থিতাবস্থা ফেরাতে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চলছে। নিজেদের মধ্যে ওই সমস্যা সঠিকভাবে মেটানোর ক্ষমতা রয়েছে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের। সেখানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও জায়গা নেই।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]