আর্মেনিয়া-আজারবাইজান ভয়াবহ যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আজারবাইজানে ৪ হাজার সেনা পাঠিয়েছে তুরস্ক। উত্তর সিরিয়া থেকে এই ৪ হাজার সেনা আজারবাইজানে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত।খবর রয়টার্সের।
আর্মেনিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার পর পরই আজারবাইজানকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক। একইসঙ্গে নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হওয়ায় আর্মেনিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছে আঙ্কারা।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান আর্মেনিয়ার জনগণকে সে দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, আর্মেনিয়ার নেতারা দেশের সাধারণ জনগণকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলতে যাচ্ছেন।
এরদোগান বলেন, আজারবাইজানের ওপর নতুন করে হামলা চালিয়ে আর্মেনিয়া এ কথায় প্রমাণ করেছে যে, তারা এই অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে তা খুবই অপর্যাপ্ত। আগ্রাসন এবং নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে পুরো বিশ্বকে রুখে দাঁড়াতে আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংঘাতে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৮ জন আর্মেনিয়ার নাগরিক। বাকি পাঁচ জন আজারবাইজানের নাগরিক।নিহতদের মধ্যে ১৬ আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীও রয়েছে বলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি দুই জন বেসামরিক নাগরিক।
১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।
১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।
নতুন করে সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে আজারবাইজান। অন্যদিকে তুরস্কের পক্ষ থেকে আর্মেনিয়ার আচরণকে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে উসকানি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]