শিরোনাম
মাটির নিচে ইরানের ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহর’
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২০, ২০:৩৯
মাটির নিচে ইরানের ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহর’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মাটির নিচে বিশাল ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহর’ তৈরি করেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র সমৃদ্ধ এ শহর পারস্য উপসাগরের তীর থেকে খানিকটা গভীরে বিস্তৃত। শহরগুলোতে একাধিক বাঙ্কার ও ভাসমান প্ল্যাটফর্মও রয়েছে।


রবিবার (৫ জুলাই) তেহরানভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সুবহে সাদিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ খবর জানিয়েছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল আলী রেজা তানসিরি। খবর ইরনার।


তিনি বলেন, উপসাগরীয় তীরে প্রায় দুই হাজার ২০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ মিসাইল শহর অবস্থিত। তবে মাটির কত ফুট গভীরে এটি অবস্থিত তা তিনি জানাননি।


তানসিরি বলেন, ইরান ভূগর্ভস্থ মিসাইল শহর তৈরি করেছে, যা পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের তীর থেকেও বেশ গভীরে বিস্তৃত। এটা ইরানের শত্রুদের জন্য দুঃস্বপ্নের কারণ হবে বলে হুঁশিয়ারি করেন তিনি।


তিনি বলেন, আইআরজিসি এখন এই দুই উপসাগরের সর্বত্র বিচরণ করছে। ইরানের নৌবাহিনীর ২৩ হাজার সদস্য ও ৪২৮টির মতো জাহাজ দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তসহ এখানকার সব জায়গায় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।


ইরানের নৌবাহিনী প্রধান হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, খুব শিগগিরই এই মিসাইল শহরে এমন অনেক মিসাইল যোগ হবে যা শত্রুপক্ষেরও ধারণার বাইরে। এগুলো হবে অত্যন্ত আধুনিক ও শত্রুপক্ষের অনেক গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম।


তানসিরি আরো বলেন, ইরানের ভূগর্ভস্থ শহরগুলোতে রয়েছে জাহাজ এবং মিসাইল। দক্ষিণ ইরানের পুরো তীরজুড়ে রয়েছে এসব অস্ত্র। এই অস্ত্রগুলোর বেশির ভাগই নিয়মিত ইরানী নৌবাহিনীর নয়, ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের হাতে রয়েছে।


এছাড়া বাসিজ ইউনিটসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক বাহিনী নিয়ে গঠিত ইরানের বিশেষ বাহিনী রয়েছে সেখানে। ভূগর্ভস্থ শহরের দুই হাজার ২০০ কিলোমিটারজুড়ে ৪২৮ ফ্লোটিলাস যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণের গতি বাড়ানো ছাড়াও ইরান এখন পারস্য উপসাগর এবং আরব উপদ্বীপে কৌশলগত যুদ্ধ শুরু করেছে।


বিবার্তা আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com