ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে নেপাল। ভারতের তুলনায় ক্ষুদ্র দেশ নেপাল। অর্থনীতি ও সামরিক শক্তি কোনো দিক দিয়েই ভারতের ধারে কাছেও নেই নেপাল। ফলে হঠাৎ করে ভারতের সঙ্গে তাদের এমন কঠোরতাকে অন্য দেশের প্ররোচণা হিসেবে দেখছে ভারত।
ভারতের সেনাপ্রধান বলেছেন, নেপাল অন্য দেশের প্ররোচণায় ভারতের সঙ্গে এমন আচারণ করছে। অন্য দেশ বলতে ভারত চীনকে বুঝিয়েছে।
কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর এমন বক্তব্যে ক্ষেপেছে নেপাল। সম্প্রতি ‘দ্য রাইজিং নেপাল’ পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নেপালের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল।
তিনি বলেছেন, ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে নেপালের গোর্খাদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন। ভারতের জন্য বহু বলিদান দিয়েছেন গোর্খারা। কিন্তু তৃতীয় কোনো শক্তির প্ররোচনায় আমরা কালাপানি সীমান্তে বিবাদ করছি বলে যে অভিযোগ করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান তা নিন্দনীয়। প্রয়োজনে নেপালি সেনারা যুদ্ধ করবে।
মূলত ভারত তীর্থযাত্রা সফল করতে মানস সরোবর পর্যন্ত যে নতুন সড়ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে তাতে নেপালে ক্ষোভ।
এ বিষয়ে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৮১৬ সালের এক চুক্তির অধীনে লিপুলেখ পাসের অংশ বিশেষ নেপালের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু সেই অংশেই রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছে নয়া দিল্লি। এটি একতরফা সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, সীমান্তে এককভাবে ভারত কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলেই আমরা আশা করছি। সীমান্তে আমাদের বর্ডার পোস্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর তুলনায় অনেক কম। সীমান্তে আমাদের মাত্র ১২০টি চৌকি রয়েছে। তাই আমরা অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা ভাবছি।
তিনি আরো বলেন, নেপালের জমিতে সড়ক তৈরি করে ভারত দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করছে। ১৮১৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের তৎকালীন রাজার মধ্যে স্বাক্ষরিত সুগাউলি চুক্তিতে সাফ বলা হয়েছে, মহাকালি নদীর পূর্বের অংশ নেপালের। ১৯৮৮ সালের বৈঠকেও ভারত স্থায়ী সীমান্ত মেনে চলতে রাজি হয়েছিল।
লিপুলেখ পাসের যে অংশ নেপাল নিজের বলে মনে করে তা কালাপানি নামেও পরিচিত। তবে ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের সময় থেকে ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ভারত।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]