যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস রোধে আরোপিত লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ মানুষ। মিছিল থেকে যাবতীয় বিধিনিষেধ অবিলম্বে তুলে নিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) ৮টি রাজ্যে প্রতিবাদ হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে মিশিগান, ওহাইও, নর্থ ক্যারোলিনা, মিনেসোটা, উতাহ, ভার্জিনিয়া, কেনটাকি ও ভার্জিনিয়া। লকডাউন না উঠলে সামনের দিনগুলো অন্যান্য রাজ্যগুলোতে বড় বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইটার বার্তায় বলেন, কিছু কিছু রাজ্যে লকডাউনের পদক্ষেপ খুব কড়াকড়ি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গে চিলি ও লেবাননেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির।
করোনা ঠেকাতে বর্তমানে ৫০টি রাজ্যের সবগুলোতেই জরুরি অবস্থা চলছে। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। ইতিমধ্যে চাকরি হারিয়েছে কয়েক কোটি মানুষ। চাকরি ও আয় হারিয়ে এখন পর্যন্ত বেকার ভাতার জন্য সরকারের খাতায় নাম লিখিয়েছে অন্তত ৫৫ লাখ।
দীর্ঘ লকডাউনে ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন মার্কিনিরা। কাজ-কর্ম নেই, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ক্ষোভে ফুঁসছে তারা। উপায়ান্তর না দেখে পথে নামছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লকডাউন তুলে নেয়ার পক্ষে। বাধসাধছেন রাজ্য সরকার ও গভর্নররা।
শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, মিনেসোটা, মিশিগান ও ভার্জিনিয়া যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ‘খুব কঠোর’ হয়েছে। এর আগে সিরিজ টুইটে ট্রাম্প লিখেন, ‘মিনেসোটাকে অবমুক্ত কর’, ‘মিশিগানকে অবমুক্ত কর’ এবং ‘ভার্জিনিয়াকে অবমুক্ত কর।’
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এসব রাজ্যের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে; কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছে, সীমিত চলাচলে মানুষজন এবং অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে উইকিনসন, ওরিগন, মেরিল্যান্ড, উতাহ এবং টেক্সাসেও লকডাউন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে জানা গেছে। ট্রাম্প তার টুইটে যে তিনটি রাজ্যের কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর ক্ষমতায় থাকা তিন গভর্নরই ডেমোক্র্যাটিক দলের।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]