করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিপর্যস্ত চীন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিহত ও আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এতদিনে করোনা ভাইরাসে শুধু আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যা বাড়লেও ধীরে ধীরে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে চীন। এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন করোনায় আক্রান্ত ১১৫৩ জন। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরই তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য কমিশন।
চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নতুন আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার হাজার। বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৪ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি লোক। চীনের স্বাস্থ্য কমিশন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ও পিপলস ডেইলি চায়নার।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে আক্রান্ত ও নিহতের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের। সেখানের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
রোগীদের চিকিৎসা দিতে স্টেডিয়াম, কনফারেন্স সেন্টারসহ বেশ কয়েকটি স্থানকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন হাসপাতাল। চিকিৎসা সরাঞ্জাম সরবরাহ করতে রাতদিন কাজ করছেন শ্রমিকরা। বিশ্বকে সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন চীন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ২৩টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। বিভিন্ন দেশ বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ নজরদারি জারি করেছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে কাউকে সন্দেহ হলে তাকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]