ভারী বৃষ্টি, বন্যা আর ভূমিধসে ভারতের উত্তরাঞ্চলে দুই দিনে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে হিমাচলে পাঁচ জন, জম্মু-কাশ্মীরে ভূমিধসে চার জন, উত্তর প্রদেশে তিন জন, রাজস্থানে চারজন এবং জম্মু-কাশ্মীরে স্রোতে ভেসে দুই সেনাসহ তিনজন প্রাণহানি ও দিল্লিতে দুইজন মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। এদিকে, বৃষ্টিতে দুর্ঘটনা এড়াতে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে দিল্লি, হিমাচল প্রদেশসহ কয়েকটি রাজ্য।
৭ জুন থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তরাঞ্চল। দিল্লিতে এরই মধ্যে ভেঙেছে ৪১ বছরের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার। যা ১৯৮২ সালের পর জুলাইয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি।
অতিবৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায় দিল্লির পার্ক, আন্ডারপাস, মার্কেট, হাসপাতাল চত্বর। রাস্তায় দেখা দেয় যানজট। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিশের সাড়ে তিন হাজার সদস্য।
দিল্লির এক বাসিন্দা জানান, আমি স্কুটারে জিনিসপত্র আনা-নেয়া করি। বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। আমার স্কুটার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন স্কুটার ছেড়ে যেতেও পারছি না।
আরও দুদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার দিল্লির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশে শনিবার থেকে ১৪টি ভূমিধস ও ১৩ জায়গায় বন্যা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। সোম ও মঙ্গলবার স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ কয়েকটি রাজ্যও।
হিমাচল প্রদেশের এক বাসিন্দা জানান, বিয়াস নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। ২০ বছরের মধ্যে আমরা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখিনি।
দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]