বাংলাদেশকে পানি দিলে আমার আপত্তি নেই: মমতা
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩, ২৩:৩৪
বাংলাদেশকে পানি দিলে আমার আপত্তি নেই: মমতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ফারাক্কায় গঙ্গার পানি বাংলাদেশকে দিলে তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজিকে ভালোবাসি।


বৃহস্পতিবার (৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ইংরেজ বাজারে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সভা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।


কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে মমতা বলেন, ‘ফারাক্কার পানি চুক্তিতে বাংলাদেশকে পানি দেওয়ার পরিবর্তে ৭০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার যা আজ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।’


এদিন মালদায় গঙ্গার ভাঙন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘গঙ্গার ভাঙন ১০০ বছর ধরে চলছে, সবাই এসেছে চলে গিয়েছে। কিছুই করেনি অথচ গঙ্গার ভাঙন সাবজেক্টটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, আমাদের (রাজ্য সরকারের) অধীনে নেই। ফারাক্কা সেটাও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, তুমি (কেন্দ্রীয় সরকার) আমাদের জল বাংলাদেশকে দিলে, আমার আপত্তি নেই আমি হাসিনাজিকে ভালবাসি। কিন্তু আমাকে যে তার পরিবর্তে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিলে, আমার সরকারকে, আমার বাংলা গভর্নমেন্টকে, তার এক পয়সাও তো দিলে না। বলতে বলতে মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে। ৫০ বার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। কিছুই দেয় না শুধুই নেয়।’


এর আগেও গত বছরের নভেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফারাক্কা ব্যারাজ প্রকল্পের আরও প্রসার বা ব্যাপ্তি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। চিঠির শুরুতে গঙ্গার ভাঙনে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন ফারাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ নদীভাঙন রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তবে চিঠির শেষে ফারাক্কা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মমতা লেখেন, কলকাতা বন্দরের স্বার্থে ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে ভারত সরকার হুগলি নদীর ভাগীরথীতে ৪০ হাজার কিউসেক পানি দিয়ে থাকে। এই পরিমাণ পানি অপর্যাপ্ত দাবি করে তাই চিঠির মাধ্যমে ফারাক্কার আরও পানি দাবি করেন মমতা।


প্রসঙ্গত, আগামী চার বছরের মধ্যে (২০২৬ সালে) ৩০ বছর মেয়াদি ফারাক্কায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এমন অবস্থায় পানি চুক্তির পরিবর্তে মমতার বকেয়া অর্থের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি হওয়া কিংবা ভাগীরথী নদীতে মমতার অতিরিক্ত পানির দাবিতে সোচ্চার হওয়া দিনের শেষে চাপে ফেলবে বাংলাদেশকেই। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ভারতের বিখ্যাত নদী বিশেষজ্ঞের ধারণা ফারাক্কা চুক্তি নবায়নের সময় যত এগিয়ে আসবে ফারাক্কা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান তত বেশি পরিষ্কার হবে। তার ধারণা তিস্তার মতই আসন্ন ফারাক্কার পানি চুক্তি নবায়নের সময়তেও বাংলাদেশের জন্য ড্যামেজ ফ্যাক্টর হতে পারেন মমতা।


বিবার্তা/এসএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com