পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর নেই নগরবাসীর
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ১৭:৪০
পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর নেই নগরবাসীর
সানজিদা আক্তার
প্রিন্ট অ-অ+

শহরের মানুষের পুষ্টিহীন খাবার গ্রহণ বেড়ে চললেও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেই বললেই চলে। পাশাপাশি এ বিষয়ে মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও জানান পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।


পুষ্টি নিয়ে যারা কাজ করেন এমন কয়েকজন সরকারি, বেসরকারি, অংশীদার উন্নয়ন সংস্থা, নীতিনির্ধারক মহলের পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে বিবার্তা। পাশাপাশি ভোক্তাদের সাথেও আলাপ হয় এ ব্যাপারে।


তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারণ ভোক্তা থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। খাবার গ্রহণে যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়, পুষ্টিমান সম্পর্কে ততোটাই উদাসীন আর নির্বিকার নগরবাসীরা।


গোলাম রহমান তিন সন্তানের বাবা। চাকরি করেন ঢাকার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে। থাকেন যাত্রাবাড়ী এলাকায়। নিজের পরিবারের খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিতে কি ভাবছেন। বিবার্তাকে জানান, তিনি শুধু প্রাত্যহিক খাবারের ব্যবস্থা করার বিষয়েই বেশি ভাবেন। পুষ্টিমান সম্পর্কে সেভাবে ভেবে দেখেননি।


তিনি বলেন, ‘আসলে খাবারের পুষ্টির ব্যাপারে আমরা সেভাবে ভাবিনি। যেসব খাবার পাওয়া যায় সেগুলোই আমার পরিবারের জন্য নিয়ে আসি। এই পুষ্টির ব্যাপারটা আমাদের পক্ষে তো নিশ্চিত করা সম্ভব না। সরকারকে এ ব্যাপারে ভাবতে হবে। চারিদিকে এত মানহীন আর ভেজাল খাবারের ভিড়ে পরিবারের পুষ্টিমান যুক্ত খাবার সত্যিই দুঃসাধ্য ব্যাপার।’


শুধু গোলাম রহমান নয়, ঢাকা শহর থেকে শুরু করে জেলা শহর- সব জায়গার একই অবস্থা। এসব জায়গায় প্রক্রিয়াজাত খাবার অ্যাভেলেবল থাকায় এসব গ্রহণেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন শহরবাসী।


অভিজাত এলাকাও পুষ্টিহীন খাবারের সয়লাব। বড় রেস্তোরাঁ, সুপারশপে ভেজাল আর মানহীন খাবারের সন্ধান মিলেছে নানা অভিযানে। বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে অন্তত একবার প্রক্রিয়াজাতকৃত প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ একটি দ্রুত নগরায়ণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে গত এক দশকে শহরে জনসংখ্যা ৩৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দ্রুত নগরায়ন শহুরে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে। শহুরে মানুষ পশুর খাবার, চিনি, লবণ, চর্বি এবং তেল, পরিশোধিত শস্য এবং মোটা শস্য, প্রধান খাদ্যশস্য এবং ডালের চেয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার বেছে নিচ্ছে। যদিও খাদ্যাভ্যাসের এই পরিবর্তন উচ্চ আয়ের দেশগুলিতে প্রাধান্য পাচ্ছে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পুষ্টির পরিবর্তনের ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির খরচের অভাব এবং ক্ষতিকারক উপাদানগুলির উচ্চ গ্রহণের কারণ হচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত স্থূলতা এবং অন্যান্য অসংক্রামক রোগকে বাড়িয়ে তোলে।


শহুরে এলাকায় সুপারমার্কেট এবং রেস্তোরাঁর প্রাপ্যতার কারণে, শহুরে মানুষ দ্রুত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের সহজলভ্যতা পায়। শহুরে দরিদ্রদের ক্ষেত্রে, সবচেয়ে সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার সাধারণত অস্বাস্থ্যকর।


এক গবেষনায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক হবে শহুরে বাসিন্দা। অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধার জন্য, প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ গ্রাম থেকে শহরে স্থানান্তরিত হয়- যার ফলে অনানুষ্ঠানিক বসতি বৃদ্ধি পায়। এই বসতিগুলি অতিরিক্ত ভিড়, দুর্বল অবকাঠামো, পানির অভাব, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন পরিষেবা, এবং স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেসের অভাবের মতো চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয়।


এই তীব্র অপুষ্টি মোকাবেলার জন্য, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নীতি ও কর্মসূচীগুলি গত ৪৫ বছর ধরে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর প্রধানত ফোকাস করা হয়েছে। গবেষনায় দেখা যায় যে, শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা (PHC) পরিষেবাগুলি দ্রুত বর্ধমান শহুরে জনসংখ্যার স্বাস্থ্য চাহিদা মেটাতে অপর্যাপ্ত৷ HC-এর মাধ্যমে পুষ্টি পরিষেবার বিষয়ে, শহরাঞ্চলে পুষ্টি পরিষেবার মান গ্রামীণ এলাকার তুলনায় অনেক কম। এর ফলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিষেবার অপর্যাপ্ত অ্যাক্সেস, বিশেষ করে শহুরে দরিদ্রদের জন্য।


বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে মাতৃত্ব, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য (MNCH) পরিষেবাগুলিকে মূলধারায় নিয়ে আসে৷ উপরন্তু, জাতীয় পুষ্টি পরিষেবা (NNS) জাতীয়ভাবে পুষ্টি-নির্দিষ্ট পরিষেবা প্রদান করে৷ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় শহুরে পুষ্টি কর্মসূচির দেখভাল করছে। পাশাপাশি বেসরকারি এবং এনজিও সেক্টরগুলি শহরাঞ্চলে সীমিত পুষ্টি পরিষেবা সরবরাহ করছে সীমিত আকারে।


তা ছাড়াও, শুধুমাত্র শহুরে মানুষের মধ্যেই নয়, শহুরে স্বাস্থ্য পরিষেবার অর্থায়ন, বিতরণ এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান লক্ষণীয়।


জানা যায়, শুধুমাত্র ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ঢাকা শহরে মৌলিক পুষ্টির প্রশিক্ষণ পেয়েছেন । এই জ্ঞানের ঘাটতি পূরণ করা এবং পুষ্টির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নীতি ও কর্মসূচিতে ভারসাম্য তৈরি করা এখন একটি অগ্রাধিকার। বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে এই ব্যবধান দূরীকরণে। যথাযথ প্রবিধান, প্রয়োগ, স্বাস্থ্য প্রদানকারীদের মনিটরিং, এবং মূল্যায়ন শহরাঞ্চলে পুষ্টি পরিষেবা উন্নত করবে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা।


নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সাইকা সিরাজ বিবার্তাকে বলেন, বছরের পর বছর ধরে অপুষ্টি হ্রাস পেয়েছে কিন্তু একই সাথে অতিরিক্ত পুষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে সমাজের অপুষ্টির মাত্রা পরিবর্তন হয়নি, বিশেষত শহুরে অঞ্চলে।


হেলেন কিলার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর হেলথ এন্ড নিউট্রিশন প্রধান ড. আফসানা হাবিব শিউলী বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে ছাদকৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা যখন নিজ হাতে খাদ্য উৎপাদনে কাজ করবে, সুষম খাদ্যগ্রহণে এমনিতেই তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে।’


ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মুরাদ মো. শমসের তাবরিস খান বিবার্তাকে বলেন, পুষ্টি রূপান্তরের উপর দ্রুত নগরায়ণের প্রভাব সম্পর্কে সরকারের স্টেকহোল্ডারদের সংবেদনশীল করার গুরুত্ব দিতে হবে। তার মতে, এই সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হলো সমাজে পুষ্টির চাহিদা তৈরি করা।


বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রওশন আরা বেগম বিবার্তাকে বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্রমবর্ধমান উৎপাদনে সমান ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। যেহেতু উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প লাভের জন্যও অধিকাংশ খাবারে ভেজাল মেশায়।


পুষ্টি ও খাদ্য ইনস্টিটিউট এর প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন বিবার্তাকে বলেন, শহুরে লোকেরা প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার গ্রহনে বেশি আগ্রহী। একটা গবেষণায় দেখা গেছে, প্রক্রিয়াজাতকৃত কোন খাবারই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই পুষ্টি বাস্তবায়নে খাদ্যনিরাপত্তার কোন বিকল্প নেই।


ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক (ডিনেট) এর নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাত হোসেন বিবার্তাকে বলেন, গবেষনায় দেখা গেছে ২০৫০ সালের নাগাদ এশিয়া ও আফ্রিকার ২.৫ বিলিয়নেরও বেশি লোক শহরে বসবাস করবে। এরই ফলশ্রুতিতে, বাংলাদেশ দ্রুত শহরায়ন এবং পুষ্টিসম্মন্ধীয় বাধাঁর সম্মুখীন হচ্ছে। তাই আমাদেরকে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, শহরায়ন এবং পুষ্টিমানের প্রগতিশীলতা নির্ধারন করতে হবে। আশাকরি শহরায়নের ফলে পুষ্টিগত বাধার যে সমস্যা সেটা সমাধানের সঠিক সমাধান দেখাবে।


তিনি জানান, ডিনেট এ বিষয়ে সম্প্রতি ‘ক্রমাগত নগরায়নের ফলে সৃষ্ট পুষ্টি স্থানান্তর, এর চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধানগুলো সম্পর্কে যথাযথ পুষ্টিসেবা অন্তর্ভুক্তিকরণ'’শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছিল নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরি সহায়তায়।


যেসকল কারণ পুষ্টি স্থানান্তরে ভূমিকা রাখে এবং পুষ্টি স্থানান্তর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে, শহুরে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে পুষ্টি স্থানান্তর এর প্রভাব, খাবারে ভেজাল এর প্রভাব এবং এর ফলশ্রুতিতে পুষ্টি স্থানান্তর,পুষ্টি ঘাটতি এবং বাংলাদেশের নগরায়নের ফলে সংঘটিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনা হয়।


বিশেষজ্ঞরা শহরাঞ্চলে পুষ্টি সেবা এবং তার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে শহরাঞ্চলে পুষ্টিসেবা প্রদানে সহায়তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সম্ভাব্য সমাধান এবং অবস্থা উন্নতিকরণে নীতিমালা গ্রহণের বিষয়টিও আলোচনা করা হয়েছে।


গোলটেবিল আলোচনায় বিশ্ব ব্যাংক এর কনসালটেন্ট ড. এস. এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'গ্রামীণ পর্যায়ে কাজের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষদের স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে যাতে তারা শহর-কেন্দ্রিক চাকরির সন্ধানে শহরে এসে ভীড় না করে।'


স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহিম বিবার্তাকে নিরাপদ ও মানসম্মত খাবার নিশ্চিতকল্পে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের উৎস নিশ্চিতকল্পে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।


১১ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে "ঢাকা ফুড এজেন্ডা ২০৪১ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আরবান ফুড ফিউচারস: এশিয়ান পারস্পেক্টিভস" শীর্ষক সম্মেলনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কথা বলেন।


ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানান, আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে গুলশানে পর্যটন কর্পোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্ধারিত ফুড স্ট্রিটে নিরাপদ খাবার বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে তাপস তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির চল্লিশ শতাংশ আসে রাজধানী ঢাকা থেকে সুতরাং ঢাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যবস্থা করার কোন বিকল্প নেই। তিনি আরো জানান, ঢাকার সকল বেসরকারি মার্কেটের জন্য নীতিমালা বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বর্তমানে ঢাকায় আধুনিক পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণেরও ব্যবস্থা হয়েছে। এধরনের আধুনিক ব্যবস্থা আমাদের নিরাপদ খাদ্য উৎস কে আরো শক্তিশালী করবে বলে জানান তিনি।


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, একসময় খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য যোগানোর সাথে সাথে এখন আমরা খাবারের মান নিশ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যা আমাদের গ্রামীণ কৃষি নির্ভর অর্থনীতি থেকে নগরায়ন ও শিল্পোন্নত দেশের পথে অগ্রযাত্রার ফসল।


তিনি আরো বলেন , স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই। কারণ একটি জাতি শুধু অর্থনীতির মানদণ্ডে উন্নত জাতিতে পরিণত হয় না, সেখানে নিরাপদ খাবার এবং সুস্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। টেকসই উন্নয়নের জন্য তাই সবার জন্য নিরাপদ খাবারের সংস্থান করতে হবে।


স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন মানসম্মত নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এ সম্মেলনের মাধ্যমে আরো বিভিন্ন উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


বিবার্তা/সানজিদা/রোমেল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com