বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩, ০৮:৪৫
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত রোগী ছোট বয়স থেকেই রক্তস্বল্পতায় ভোগে। থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দুই প্রকার হয়ে থাকে, আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া। আলফা থ্যালাসেমিয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে আলফা তীব্র হয় না। অনেক সময় উপসর্গও বোঝা যায় না, রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করে। তবে বিটা থ্যালাসেমিয়া হলে রক্তের স্বল্পতা দেখা দেয়, ক্লানি্ত, অবসাদ, শ্বাসকষ্ট ও ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়। দেশে এ ধরনের আক্রানত সবচেয়ে বেশি।


রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সারাবিশ্বের মত সোমবার (৮ মে) দেশে পালিত হবে ‘বিশ্ব থেলাসেমিয়া দিবস-২০২৩।’ আন্তর্জাতিক থেলাসেমিয়া ফেডারেশন এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- ‘বি অ্যাওয়ার, শেয়ার কেয়ার থ্যালাসেমিয়া: স্ট্রেংদেনিং এডুকেশন টু ব্রিজ দ্য থেলাসেমিয়া কেয়ার গ্যাপ।’ যার মানে দাঁড়ায় ‘থেলাসেমিয়া সম্পর্কে নিজে জানি, যত্নবান হই, সেবার গ্যাপ পূরণে জ্ঞান অর্জন করি।’


চিকিৎসকদের মতে, এ রোগের ফলে আক্রান্তের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি হয় না, যার ফলে অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়। বাবা-মা উভয়ই ত্রুটিযুক্ত জীন বহন করলে সে ক্ষেত্রে প্রতি গর্ভাবস্থায় সন্তানের ২৫ শতাংশ থেলাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ২৫ শতাংশ সুস্থ্য এবং ৫০ শতাংশ বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের পেছনে বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া বাহক হওয়ার কারণ রয়েছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ বিয়ের আগে অবশ্যই থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করানো উচিত। যাতে বাবা-মা বাহক হলেও ৭৫ শতাংশ রোগী ও বাহক কমিয়ে আনা সম্ভব।


দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এ রোগের জীন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় বিবাহের পূর্বে এই রোগের জীন বাহক কি না তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।


পৃথক আরেক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল এবং ক্ষেত্র বিশেষতা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়েতোলার বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়া বিস্তাররোধে বাহকদের মধ্যে এবং আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com