শিরোনাম
'রাইসমিল বন্ধ থাকায় ধানের দম কম'
প্রকাশ : ১৮ মে ২০১৯, ১৭:০৮
'রাইসমিল বন্ধ থাকায় ধানের দম কম'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

অটো রাইসমিল বন্ধ থাকায় ধানেন দাম কম বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ অটো রাইসমিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম খোরশেদ আলম খান।


শনিবার ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটির এক সংবাদ সম্মলেন করে এ দাবি করেন তিনি। অটোরাইসমিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কৃষকেরা যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।


আমল খান বলেন, সম্প্রতি টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ও শ্রমিকের মজুরি জনপ্রতি ১ হাজার টাকা হওয়ায় কৃষক নিজ জমির পাকা ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। বর্তমানে ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে কৃষক বঞ্চিত হচ্ছে ইহা বাস্তব ঘটনা। কৃষকেরা ৫শত টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করার মতো ক্রেতাও খুঁজে পাচ্ছে না।


তিনি বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ব্যাপকভাবে অটো রাইস মিল সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে উৎসাহী হয়ে ধানের চাষ বাড়িয়ে দেয়। কারণ তাদের উৎপাদিত ধানের রাইস মিল মালিকরা ন্যায্য মূল্যে কিনে নিতেন। এতে করে বিগত ১০-১২ বছর পর্যন্ত ধানের মূল্য স্থিতিশীল থাকে। বিভিন্ন কারণে দেশে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ অটো রাইসমিল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কৃষকরা ধান বিক্রি করাতে পাচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে ধান চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।


তিনি আরো বলেন, তাদের সংগঠনের প্রায় ৪০০ মিল রয়েছে। এ সব মিলের মধ্যে ১শত মিল ধান ক্রয় করলে প্রায় ৩ শত মিল ধান ক্রয় করা বন্ধ রেখেছে।


এ সময় রংপুর থেকে আসা কৃষক মো. মোর্শেদ বলেন, ধানের দাম কম থাকায় তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ধানের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা হলে তারা লোকসানের সম্মুখীন হবে না।


কৃষকদের দাবিগুলো হল:


১. শক্তিশালী কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষক সনাক্ত করা।
২. শতকরা ২ ভাগ হারে কৃষি ঋণ বিতরণ করা।
৩. কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় ও কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ৭ বছর মেয়াদী বিনা সুদে ব্যাংক ঋণ সরবরাহ করা।


৪. কৃষকের সেচের বিদ্যুৎ বিল ইউনিট প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা নির্ধারণ করা।


অটো রাইসমিলের কিছু দাবিগুলো হলো


১. বন্ধকৃত অটো রাইসমিলগুলো ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ করে রিসিডিউলের মাধ্যমে ২৫ থেকে ১০০ কোটি টাকা চলতি মূলধন প্রদান করতে হবে।


২. সুদের হার কৃষি শিল্প হিসেবে ৪ থেকে
৫ ভাগ হারে নির্ধারণ করতে হবে।


৩. বিদ্যুৎ বিল কৃষি শিল্প হিসেবে ৪ থেকে ৫ টাকা ইউনিট নির্ধারণ করতে হবে।


৪. বিদেশ থেকে আপাতত চাল আমদানির উপর শুল্ক হার শতকরা ২৮ ভাগ হইতে বাড়িয়ে শতকরা ৪০ ভাগ উন্নত করতে হবে।


বিবার্তা/আকরাম/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com