নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তিতে নেই ক্রেতা
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:২৪
নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তিতে নেই ক্রেতা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতারা যেন কোন ভাবেই স্বস্তি পাচ্ছে না। বাজারে একটির দাম কমলে বাড়ে অরেকটির। গত সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কিছুটা কমলেও লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। চাল, পেঁয়াজ, মাছ, মাংসের দামেও নেই সুখব। তবে বাজারে স্বস্তি ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও নানা অযুহাতে ভোক্তার পকেট কেটেই চলেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।


শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু করলেও খুচরা বাজারে পাওয়া যায়নি এর প্রভাব। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগীর দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। তবে প্রতি কেজি আলুর দাম ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।


বাজারের দাম চড়া থাকায় ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিক্রেতারা বলছে, এখন বেশির ভাগ সবজির মৌসুম শেষ, শীতে নতুন করে সবজি ওঠার সময় আসছে সামনে। তাই বাজার দর একটু বেশি।


আজকের বাজারে গোল বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করোলা ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, কচুর মুখি কেজি ৮০, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ১০০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে, নিম্নমুখী শাকের বাজারও। লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫-২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা, ডাঁটাশাক ১৫ টাকা, কলমিশাক ১০-১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।


দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও; খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়; আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০-১১০ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এতে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়েই কমেছে দাম।


এসময় ডজন প্রতি ফার্মের ডিম ১৪৪-১৫০ টাকা টাকা, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা ও গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়।


মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, দেশী কৈ ৭০০ টাকা, দেশি ট্যাংরা ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ২২০-২৫০, কাচকি ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-২৮০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইছ এজেন্সির বিক্রেতা জানান, নতুন করে আর না বাড়লেও চালের দাম কমেনি। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, আটাইশ ৬০-৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমন ধান উঠা শুরু হলে বাজারে দাম কমতে শুরু করবে।


বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে ডিম ও মাংসের দাম। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।


এছাড়াও প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা, প্রতি কেজি বড় পেঁয়াজ ১০০ ও দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, রসুন ২৩০ টাকা, আদা ২৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা।


রাজধানীর মালিবাগ বাজারের ক্রেতা সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিক্রেতারা বলছে আগের চেয়ে সবজির দাম কমেছে। তবে ১৪০/১৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় নেমেছে। কিছু সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এটাকে তো সবজির দাম কমেছে বলা যায় না। বরং সবজির দামের ঊর্ধ্বগতি। সাধারণ ক্রেতাদের বাজারদর নিয়ে এমন আপত্তি, ভোগান্তি তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেই।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com