
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় ষষ্ঠ যৌথ বাণিজ্য কমিটির (জেটিসি) বৈঠক আহ্বানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছে, এটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনার পথ প্রশস্ত করবে।
২৮ অক্টোবর, সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোরের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, রানোং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি উপকূলীয় জাহাজের পরীক্ষামূলক যাত্রা শিগগিরই হতে পারে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশের অফিসিয়াল পাসপোর্টের জন্য 'ভিসা ছাড় চুক্তি' সক্রিয় করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
এসময় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জানান, থাইল্যান্ড শিগগিরই ই-ভিসা সেবা চালু করতে যাচ্ছে। আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ই-ভিসা নিতে পারবেন।
পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব নেওয়ায় জসিম উদ্দিনকে অভিনন্দন জানান এবং আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন সুমিতমোর।
এসময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, কৃষি ব্যবসা, পর্যটন ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগের বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন পররাষ্ট্র সচিব।
বৈঠকে উভয় পক্ষই শিগগিরই বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনাকালে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফল বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সুমিতমোর বলেন এই আয়োজন থাই ব্যবসায়ীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সুস্বাদু খাবারের প্রচার ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য জ্ঞান, উদ্ভাবন ও দক্ষতা বিনিময়ে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]