ব্যাংকগুলো কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করছে তার তথ্য নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। তবে অনেক ব্যাংক সে নির্দেশনা মানছে না। কিছু ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের হিসাব বিলম্বে পাঠাচ্ছে, আবার কিছু ব্যাংক ভুল তথ্য দিচ্ছে। এতে করে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট হিসাবায়ন এবং মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নানাবিধ সমস্যায় পড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এমন পরিস্থিতিতে ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে বৈদেশিক মুদ্রার সঠিক তথ্য লেনদেনের ৮ কর্মঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

৩১ জুলাই, বুধবার ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন রিপোর্ট করার নির্দেশনা থাকলে অনেক ব্যাংক ড্যাশবোর্ডে ভুল ও বিলম্বে রিপোর্টিংয়ের কারণে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট হিসাব এবং মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখন থেকে আমদানি ও রপ্তানির এলসির বৈদেশিক মুদ্রায় যেকোনো মূল্য পরিশোধ ও প্রাপ্তির ৮ কর্মঘণ্টার মধ্যে ড্যাশবোর্ডে তথ্য দিতে হবে।

ড্যাশবোর্ডের বিভিন্ন মডিউলের নির্ধারিত টেমপ্লেটে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করতে হবে। এছাড়া ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং তদারকির জন্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা করতে হবে।

ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং বিষয়ে আগের জারি করা সব সার্কুলার, সার্কুলার লেটার ও অন্যান্য নির্দেশনা যথারীতি বলবৎ থাকবে এবং পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ফরেন এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের যাচিত তথ্য, বিবরণী, নথিপত্র ইত্যাদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকতা নিশ্চিত করে পাঠাতে হবে।

বিবার্তা/লিমন