
কারফিউসহ চলমান পরিস্থিতিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে দেশের অন্যতম রফতানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে। গত ৬ দিনে এ বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানি নেমেছে প্রায় অর্ধেকের চেয়েও বেশি। এতে বিপুল অংকে কমেছে রফতানি আয়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইন্টারনেট পরিসেবায় বিভ্রাট ও উদ্ভূত পরিস্থিতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পণ্য রফতানি কার্যক্রম। গত কয়েকদিনে নামমাত্র মাছ ও সিমেন্ট রফতানি করা হয়েছে।
স্বাভাবিক সময়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের যে ইয়ার্ডে দেখা যেত পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপের ব্যস্ততা। সেখানে এখন কেবলই নীরবতা। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে রফতানিমুখী এ বন্দরটি।
ইন্টারনেট পরিসেবায় বিভ্রাট ও দেশজুড়ে কারফিউর প্রভাবে অচলাবস্থা দেখা দেয় দেশের অন্যতম বৃহৎ এ বন্দরের রফতানি বাণিজ্যে। স্বাভাবিক সময়ে এ বন্দর দিয়ে প্রায় ২ লাখ ডলার মূল্যের হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ফার্নিচারসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ ধরণের পন্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। তবে দেশজুড়ে কারফিউ ও চলমান অস্থিরতায় গেল ৬ দিনে নামমাত্র মাছ ও সিমেন্ট ছাড়া রফতানি করা যায়নি কিছুই। এছাড়া ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে অনলাইন ব্যবস্থা না থাকায় ২০ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ম্যানুয়ালি বিল অফ এক্সপোর্টের তথ্য লিপিবদ্ধের মাধ্যমে মাত্র ৫৩ টন মাছ ও ৭০ টন সিমেন্ট রফতানি করা হয়েছে। এসব থেকে রফতানি আয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা।
ব্যবসায়ীদের দাবি এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন তেমনি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। দ্রুত স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে চান ব্যবসায়ীরা।
সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন আখাউড়ার সভাপতি হাসিবুল হাসান জানান, দূরদূরান্ত থেকে পণ্য বন্দরে পৌঁছাতে না পারায় মাছ ব্যতীত অন্য কোন পণ্য রফতানি হচ্ছেনা।
এদিকে বন্দরে পণ্য পৌঁছালে তা রফতানিতে কোন বাধা নেই জানিয়ে স্থলবন্দরের কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সহকারী কমিশনার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুরনো রূপে ফিরবে বন্দরের কার্যক্রম।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চলছে।
বিবার্তা/আকঞ্জি/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]