
বর্তমান মূল্যস্ফীতি এবং নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। একইসঙ্গে তিনি সিনিয়র সিটিজেন ও মহিলাদের জন্য করমুক্ত আয় সীমা পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণেরও সুপারিশ করেন।
৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪০তম সভায় তিনি এ সুপারিশ করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে প্রায় এক কোটি টিআইএন ধারী রয়েছেন। এরমধ্যে আনুমানিক ৩৫ লাখ আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। যাদের আয় করমুক্ত সীমার উপরে আছে, তাদেরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে সরকার ইতোমধ্যে যে-সব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো ইতিবাচক হবে বলে মনে করে এফবিসিসিআই। একইসঙ্গে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে সুদের হার স্থিতিশীল রাখতে হবে। বিনিয়োগের স্বার্থে সুদের হার কমিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।
মাহাবুল আলম বলেন, অর্থ পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সেজন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, অনেকের দাবি ইজ অব বিজনেস ডুয়িংয়ের অবস্থা ভালো নয়। তাই ব্যবসা সহজ করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
বর্তমান অর্থনীতিতে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার তদারকি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স প্রবাহ, রফতানি বৃদ্ধি, নতুন বাজার সংযোজন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সুদের হার ও আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সমন্বয় করা বড় চ্যালেঞ্জ।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]