আলু রফতানিকারকদের মধ্যে বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, দুবাই, বাইরাইনসহ বিভিন্ন দেশে আলু রফতানি করছে বাংলাদেশ। রাশিয়াতেও আলু বিক্রির কথা ভাবছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশী কৃষিপণ্যের রফতানিকারক ও আমদানিকারকদের মধ্যে অন্যতম আহিয়া ইমপেক্স লিমিটেড। ফার্মটির চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহামাদ বলেন, আমাদের দেশে আলু চাষের মৌসুম নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। এরপর আমরা আলু হিমাগারে রাখি, যা পরে সারা বিশ্বে সরবরাহ করা হয়।
বাংলাদেশের হর্টিকালচার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহামাদ। সম্প্রতি আলুর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এতে আরো পরিবর্তন এসেছে। কীভাবে আরো বৈজ্ঞানিক উপায়ে উৎপাদন করা যায় তার বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ৪৯ ধরনের আলুর চাষ হয়। এর মধ্যে গ্রানোলা ও লেডি রোসেটাই বেশি রফতানি করে আহিয়া ইমপেক্স লিমিটেড। জহির উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে নেদারল্যান্ডস থেকে আলুর বীজ আনা হয়। তারপর আমাদের বিজ্ঞানীরা এর ওপর কাজ করেছে এবং আমাদের নিজস্ব বীজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
গত বছর ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। এ বছর এ পরিমাণ আরো বাড়বে বলা আশা করা হচ্ছে। দামের দিক দিয়ে পাকিস্তান ও ইসরাইলের তুলনায় বেশ প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে বাংলাদেশ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মৌসুম চলাকালে আমরা সর্বনিম্ন দামে গুণগত মানসম্পন্ন আলু সরবরাহ করতে সক্ষম। সূত্র: পটেটো প্রো।
বিবার্তা/ফারিজ/জিয়া