কমল ডিমের দাম, মাংসের দাম অপরিবর্তিত
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:৫২
কমল ডিমের দাম, মাংসের দাম অপরিবর্তিত
প্রিন্ট অ-অ+

পাইকারি বাজারে ডিমের দাম গেল তিন দিনের তুলনায় কমেছে। প্রতি হালিতে ডিমের দাম কমেছে ৫ টাকা। পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। অবশ্য পাইকারি বাজার কাছাকাছি খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতি হালি ডিম ২-৩ টাকা কমে পাচ্ছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, খুচরায় ডিমের দাম কমতে আরও তিন-চার দিন লাগতে পারে।


অন্যদিকে ব্রয়লার, সোনালি মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি ও মাছের দাম ৫ থেকে ২৫ টাকা মধ্যেই ওঠানামা করছে।


গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, নিউ ইস্কাটন, ইস্কাটন গার্ডেন, শান্তিনগর, হাতিরপুল, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার এলাকার পাইকারি ও খুচরা বাজার, মুদি দোকানি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।


এক মাসের হিসাবে ভোক্তা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ৯০ টাকা। ফার্মের মুরগির প্রতি হালি লাল ডিমের দাম বেড়েছিল ৬-৮ টাকা। সেটা এখন ২-৩ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।


জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি ১০০ মুরগির ডিম ১ হাজার ৭০ টাকায় বিক্রি করেছেন। সেটা তিন দিনের ব্যবধানে গত মঙ্গলবার থেকে ৯৪০-৯৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। সে হিসাবে খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস ডিম ৯ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে কিনছেন। খুচরা ব্যবসায়ীর দোকানে আগের ডিম থাকায় ভোক্তার কাছে ১১ টাকা ২৫ পয়সায় বিক্রি করছেন। অর্থাৎ এক হালি ডিম ভোক্তার ৪৫ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো খুচরা ব্যবসায়ী এখনো ৫০ টাকা হালি দরে ডিম বিক্রি করছেন।


তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী আল আমিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আল আমিন বিবার্তাকে বলেন, ‘ডিমের দাম কমে গেছে। আমাদেরও প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ডিম কম দামে বিক্রি করলেও ভোক্তারা এখনো সেই সুফল পাচ্ছেন না। তারা আরও তিন-চার দিন পর এই কম দামে ডিম কিনতে পারবে।’


গতকালও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি ২২০-২৪০ টাকা দরে। সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা কেজি। গতকাল পাইকারি বাজারে ব্রয়লার ২০০ ও সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে দরে বিক্রি হয়েছে।


তেজগাঁওয়ের মুরগি ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ‘গত ১৫ দিনে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। সেটা এখনো একই রকম রয়েছে। কবে নাগাদ দাম কমতে পারে সেটা বলা যাচ্ছে না। এখন মুরগিও কম বিক্রি হচ্ছে।’


মাছের মধ্যে রুই, কাতলা, মৃগেল বড় সাইজের প্রতি কেজি ৩৫০, পাঙ্গাশ ২০০, তেলাপিয়া ১৮০-২৫০, মিরর কাপ ২৮০, ট্যাংরা ও গুলশা ৪৫০, সরপুঁটি ১৮০-২৫০, চিংড়ি জাতভেদে ৪৫০-৬০০, পাবদা মাঝারি ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়ে। গরুর মাংস ৭০০, খাসির মাংস ৯০০-১০৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


কারওয়ান বাজারে চাল ব্যবসায়ী নিউ বরিশাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় মোটা চালের ৫০ কেজির বস্তায় ১০-২০ টাকা বেড়েছে। গতকাল গুটি স্বর্ণা ৪৭-৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। নাজির ৭২-৭৩, আটাশ ৫৩-৫৪, মিনিকেট নাম দিয়ে বিক্রি করা চাল ৭০-৭২, আমন লাল চাল ৫৮, চিনিগুঁড়া চাল ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন।


বিবার্তা/এমএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com