দীর্ঘদিনের ইচ্ছেটা যেন অপূর্ণই রয়ে যাচ্ছিলো বহুমাত্রিক চরিত্রাভিনয়ে প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খানের। স্বামী এবং একমাত্র আদরের কন্যা রাজেশ্বরী’কে সঙ্গে নিয়ে বেশকিছুদিন হলো ফার্মগেটের খামারবাড়ি সড়কে নতুন বাসায় উঠেছেন। সে খবর তার প্রিয় সহকর্মীরাও জানেন।

রুনা’র নতুন বাসায় ওঠাকে স্বাগতও জানিয়েছেন তার অনেক সহকর্মী। কিন্তু প্রিয় সহকর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে তার নতুন বাসায় আড্ডা দেয়া, গল্প করা এবং সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা যেন হয়েই উঠছিলনা। কারণ সবারইকে একসঙ্গে পাওয়াটাও যে বেশ কঠিন।

অবশেষে সবার সেই সমন্বিত সময় যেন ভাগ্যে জুটলো রুনা খানের। রুনা খানের নিমন্ত্রণে গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা’র পর রুনার বাসায় উপস্থিত হয়েছিলেন রুনারই প্রিয় প্রিয় সহকর্মীরা। যেহেতু রিচি সোলায়মান দেশের বাইরে থাকেন এবং তিনি চলেও যাবেন শিগগিরই, তাই তার চলে যাবার আগেই রুনা দিনটি নির্ধারিত করেন।

রুনার নিমন্ত্রণে রুনার বাসায় যারা আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা হচ্ছেন ডলি জহুর, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সেলিম, সাবেরী আলম, তানভীন সুইটি, করভী মিজান, বিজরী বরকত উল্যাহ-ইন্তেখাব দিনার, জয়া আহসান, শারমিন শিলা, ফারজানা চুমকি, সজল, দীপা খন্দকার, রিচি সোলায়মান-রাসেক মালিক, তাহমিনা সুলতানা মৌ, অপি করিম, রুমানা, জিতু আহসান-মিসেস জিতু আহসান, সকাল আহমেদ-মিসেস সকাল আহমেদ, জেনি-তানভীর, মৌসুমী নাগ, তুষ্টি, জয়িতা, বাঁধন, ভাবনা, চয়নিকা চৌধুরী, রহমতুল্লাহ তুহিন, মনিরা মিঠু।

রুনা খান বলেন, ‘আমরা সবাই যে একই পরিবারের তা নতুন করে আবারো প্রমাণিত হলো। আমার নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সবাই যে এসেছিলেন তাতেই সন্তুষ্ট আমি। আমি ও আমার স্বামী সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেইসাথে আমার একমাত্র মেয়ে রাজেশ্বরীর জন্য দোয়া চাই যেন তাকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।’

রুনা জানান, সেদিনের সেই আড্ডা এতোটাই জমে উঠেছিলো যে পরেরদিন কাজ না থাকলে গভীর রাত পর্যন্ত সেই আড্ডা চলতো। কিন্তু অনেকেরই পরেরদিন শুটিং থাকায় নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থেকেই বাসায় ফিরে যেতে হয়।

বিবার্তা/অভি/সোহান

ছবি : আলিফ হোসেন রিফাত