
বাংলা গানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের আজ তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ খ্যাত জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী ২০২০ সালের ৬ জুলাই না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
এন্ড্রু কিশোরের জন্মস্থান রাজশাহীতে আজ একটি স্মরণসভা হচ্ছে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে। তবে, দেশের সংগীতাঙ্গনে তাকে স্মরণ করে তেমন কোনো আয়োজনই নেই।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এন্ড্রু কিশোরকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়লে সেখানে তিনি কয়েক মাস চিকিৎসা নেন। পরে চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিলে ২০২০ সালের ২০ জুন রাজশাহীতে ফিরে আসেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর ৬ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
বাংলা চলচ্চিত্রে ১৫ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’ প্রভৃতি।
উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে রাজশাহীতে এন্ড্রু কিশোর জন্ম গ্রহণ করেন । সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুল, রবীন্দ্র, লোকসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গানের শাখায় তালিকাভুক্ত হন। চলচ্চিত্রে তার প্রথম গান মেইল ট্রেন (১৯৭৭) চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই’। তিনি ‘বড় ভাল লোক ছিল’ (১৯৮২) চলচ্চিত্রের ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর সারেন্ডার (১৯৮৭), ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কবুল (১৯৯৬), আজ গায়ে হলুদ (২০০০), সাজঘর (২০০৭) ও কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রে গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর ।
বিবার্তা/ইমি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]