
শোবিজে একসময়ের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। গান থেকে টিভি-পর্দায় একসঙ্গে বহু কাজ করেছেন এই জুটি। ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর দীর্ঘ সময় তাদের একসঙ্গে অভিনয়ে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন সাবেক তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘বাজি’র ট্রেলার প্রকাশ উপলক্ষ্যে গত ১১ জুন একটি সংবাদ সম্মেলনে পাশাপাশি দেখা যায় তাদের।
দীর্ঘ বিরতির পর তাহসানের সঙ্গে অভিনয় করায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মিথিলাকে। বিচ্ছেদের পর একসঙ্গে দুজনের অভিনয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, সন্তান তাদের এক করতে না পারলেও টাকার জন্য একত্র হয়েছেন তাহসান-মিথিলা! তাহসানের সঙ্গে পর্দায় ফেরা ও সমালোচনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মিথিলা।
তাহসানের সঙ্গে কাজের বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেন, ২০১৬-এর পরে আমরা আর কাজ করিনি। ২০১৭ সালে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এত বছর বাদে কাজ করলাম, লোকে আবার অনেক কথা বলতে শুরু করল।
কী কথা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, কী আর? টাকার জন্য মিথিলা-তাহসান একসঙ্গে কাজ করল, অথচ বাচ্চার জন্য একসঙ্গে থাকতে পারল না! লোকে তো জানেই না আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। আমরা খুব ভালো আছি।
তাহসানের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয় জানিয়ে মিথিলা বলেন, ২০১৬-এর পরে ২০২৪-এ মিথিলা আর তাহসানের দেখা হলো—এটা তো নয়, আমাদের তো প্রতিদিন কথা হয়। ব্যাপারটা ও রকম নয় যে বহু বছর পরে দুজনের দেখা।
সাক্ষাৎকারে মিথিলা আরও জানান, বিচ্ছেদ হলেও তাহসানের সঙ্গে এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার। মিথিলার ভাষ্য, সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে।
পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে সংসার করা মিথিলা বলেন, সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবচেয়ে আগে। এটাই উচিত। আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। আমি আর তাহসান ১৪ বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আলাপ। দুজন দুজনকে ভালো করে জানি। আয়রা আমাদের দুজনের কাছে সবচেয়ে আগে।
সৃজিত সবকিছু জেনেই বিয়ে করেছে জানিয়ে মিথিলা বলেন, ও সবটাই জানত। বাংলাদেশে গিয়েছে, আমার পরিবারকে দেখেছে। তাহসানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দেখেছে। বিয়ের মতো সম্পর্ক হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ থাকে, সৃজিত আমার সব কিছু জেনেই আমাকে গ্রহণ করেছে। আয়রার সঙ্গে সৃজিতের চট করে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। আয়রা সৃজিতকে ‘আব্বু’ বলে, তাহসানকে ‘বাবা’, এই দুইয়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আমি।
বর্তমানে কলকাতা ও ঢাকা, দুই বাংলায় মিলিয়েই মিথিলার জীবন। অভিনেত্রী বলেন, কলকাতায় একটানা যখন থাকতাম বাংলাদেশে লোকে বলত, মিথিলাকে তো পাওয়াই যায় না। অন্যদিকে ঢাকায় থাকলে বা বাইরে গেলে কলকাতার লোক আমাকে ফোন করে পায় না। আমাকে যদি কেউ বেশ কিছুদিন আগে অভিনয়ের কথা বলে, তাহলে কিন্তু আমি ঠিক সময় বার করে ফেলি। যে কাজ করবে আর যে কাজ করাতে চায়, দুজনের চাওয়া মিলতে হবে।
‘বাজি’ সিরিজের প্রেস কনফারেন্সেও দুজন দুজনের বেশ প্রশংসাও করেন। এ তারকারা প্রমাণ করলেন স্বামী-স্ত্রী আলাদা হলেও বাবা-মা কখনই আলাদা হয় না। এ বন্ধন সারা জীবনের।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]