বিগত কয়েক বছর ধরে সংসদ নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে শোবিজ তারকাদের। সম্প্রতি রাজনীতিতে তাদের আগ্রহ অনেকটা বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হলেও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন কেউ কেউ। তবে সংসদের টিকিট মেলেনি কারও ভাগ্যে। এবার সংরক্ষিত নারী আসনে নজর ছিল শোবিজ অঙ্গণের অনেক নায়িকার। আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রার্থী হতে অনেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেনও। তবে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে সবারই।

১৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংরক্ষিত আসনে চূড়ান্ত হওয়া ৪৮ নারীর নাম ঘোষণা করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। তবে মনোনীত তালিকায় অভিনেত্রীদের কারও নাম নেই। একজনও সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। এর আগে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়নপ্রত্যাশী ১ হাজার ৫৪৯ জনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

যদিও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কথাই শিরোধার্য। আমি নিজেও সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলাম।

এসময় সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কেনা আরেক অভিনেত্রী তানভীন সুইটি জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাত আরও শক্ত করে ধরবেন তিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে অনেক তারকা মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন লাকী ইনাম, সুজাতা বেগম, সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তারিন জাহান, শিমলা, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, মেহের আফরোজ শাওন, সোহানা সাবা, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর কিংবা নুসরাত ফারিয়ার মতো শোবিজ তারকারা।

উল্লেখ্য, গত ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। তিনদিনে মোট ১ হাজার ৫৪৯টি ফরম বিক্রি করেছে দলটি, যা থেকে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। একেকটি রাজনৈতিক দল ৬টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসন পায়। এ হিসাবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ পায় মোট ৪৮ আসন।

বিবার্তা/লিমন