শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এক নারী কর্মী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা।

৩১ মে, শনিবার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুবাশ্বির সালেহীন-এর স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শেকৃবি শাখার ছাত্রদলের একজন নারী কর্মী কর্তৃক উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বেগম সৈয়দুন্নেছা হলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর উপর ভীতি প্রদর্শন মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা, অংশগ্রহণ না করা হলে আবাসিক হলের কক্ষ ত্যাগ করার হুমকি প্রদানে ঘটনা ঘটেছে। যা শেকৃবিতে লেজুরবৃত্তিক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নারী শিক্ষার্থীদের অপব্যবহারের হীন চেষ্টার নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ছাত্রশিবির শেকৃবি শাখা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার পবিত্র স্থান।শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান অর্জন ও নৈতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতি গঠনে আত্মনিয়োগ করতে আছেন। কিন্তু তাদেরকে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিকর স্বার্থে কেউ কেউ ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন, যা কোনোভাবেই নৈতিক চিন্তাসম্পন্ন কোনো নাগরিকদের কাম্য নয়। ৩৬ জুলাই পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আমাদের প্রত্যাশা, দেশের সকল শিক্ষাঙ্গন লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্তি পাবে।

সাম্প্রতিক এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্রশিবির শেকৃবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে।

দফা গুলো:

১। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিযোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২। আবাসিক হলসমূহ ও ক্যাম্পাস রাজনৈতিক দখলদারিত্ব বন্ধ করতে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩। সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষা,নিরাপদ ও স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৪। দলীয় পরিচয় নির্বিশেষে যে কেউ শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫। অতি দ্রুত ছাত্র সংসদ নীতিমালা প্রণয়ন করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিবৃতি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সকল ছাত্রসংগঠন একটি সুশৃঙ্খল, নিরাপদ ও নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় যৌথভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

বিবার্তা/ফাহিম/এসএস