অবন্তিকার আত্মহত্যা
তদন্তে তড়িঘড়ি করলে, দুর্বলতা থাকার সম্ভাবনা থাকে: জবি উপাচার্য
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৯
তদন্তে তড়িঘড়ি করলে, দুর্বলতা থাকার সম্ভাবনা থাকে: জবি উপাচার্য
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, সবকিছু সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে তদন্ত করা হবে, কেননা কোনো তদন্ত তড়িঘড়ি করে করলে সেখানে দুর্বলতা থাকার সম্ভাবনা থাকে।


১৭ মার্চ, রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।


উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আইন আছে, সেই আইন মোতাবেক কাজ করতে হয়। অনেকেই হয়ত এটা বাইরে থেকে বুঝতে পারেন না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমাদের আইন দ্বারা কাউকে পেনালাইজ করি তখন সেটা কয়েকটা টায়ারে যেতে হয়। নইলে সে কিন্তু কোর্টে যেতে পারে এবং কোর্টে যদি আমাদের তদন্তে কোনো দুর্বলতা থাকে তখন সেই সুযোগে কোনো শিক্ষক বা অন্যান্য কেউ থাকে তখন সেটা ফেরত চলে আসে। এই ধরনের নজির কিন্তু বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। সেজন্য কোনো তদন্ত তড়িঘড়ি করে করলে সেখানে কিন্তু দুর্বলতা থাকে।’


তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে। আপনারা যদি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখেন, দেখবেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিগুলো কীভাবে এগুচ্ছে। অনেকগুলো কমিটিই আমি লক্ষ্য করেছি, তারা কাজ করছে। সামনের যে সিন্ডিকেট আছে, সেখানে রিপোর্টগুলো পেশ করা হবে। এটা আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’


সাদেকা হালিম আরও বলেন, ‘আমি আগেই উল্লেখ করেছিলাম কাজটি বড় পরিসরের। কারণ যে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে সে কিন্তু নোটে অনেক কিছুই লিখে গেছে। একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে তখন তার সহপাঠীদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক হয়। তার শিক্ষকদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক হয়, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। তাই যখন এটা তদন্ত আমরা করি তখন সেটা কিন্তু বড় পরিধিতে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে করতে হয়।’ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সবকিছু এককভাবে হয় না, সেকারণে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা হবে।’


এর আগে, শুক্রবার রাতে জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠীকে মো. রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে দায়ী করে কুমিল্লার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন। এ ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আগুন জ্বালিয়ে ভোর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করে গ্রেফতার ও ন্যায়বিচার সহ মোট ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাতে অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করলে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযুক্ত আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে আটক করে।


বিবার্তা/রুদ্র/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com