জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বাকি নিয়ে টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাভার নামা বাজারস্থ মেসার্স কার্তিক স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী রতন সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
জানা যায় খাইরুল ইসলাম এখন এস্টেট অফিসের পিয়ন পদে কর্মরত থাকলেও পাঁচ বছর আগে তিনি বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমান হলের ডাইনিংয়ের মেস স্টুয়ার্ড ছিলেন। মেস স্টুয়ার্ড থাকাকালে ডাইনিংয়ের বাজার করার জন্য তিনি কার্তিক স্টোর থেকে বাকিতে মালামাল আনতেন। বাকিতে মালামল আনার পর এখনো পর্যন্ত তিনি সেই অর্থ পরিশোধ করেননি।
অভিযোগ পত্রে মেসার্স কার্তিক স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী রতন সাহা বলেন, ‘প্রতি মাসে খাইরুলকে টাকার জন্য চাপ দিলে বলে হল প্রশাসন আমাকে সময়মত টাকা দেয় না। টাকা প্রতি বছরে জুন মাসে দেয়। টাকার হিসাব আমার বালাম বইয়ে লিপিবদ্ধ আছে। কোনদিন কি পরিমাণ, কত টাকার মালামাল নিয়েছে, তার হিসাব তারিখ সবই উল্লেখ আছে।’
এ বিষয়ে খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাছাড়া রতন সাহা নামে যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে আমি চিনি না। আমি নেপাল সাহা নামের একজনের কাছ থেকে মালামাল আনতাম। হলের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার আগে হল প্রভোস্টকে সকল হিসাব বুঝিয়ে দিয়েছি। আমি সামনে নির্বাচন করবো এজন্য বিরোধী পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি আরো জানান, ‘আমার ভগ্নিপতি মাদকাসক্ত। সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি অভিযোগের বিষয়ে আগামী রবিবার প্রতিবাদলিপি জমা দিব।’
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিলো। রেজিস্ট্রার অফিসে পিয়ন পদে নিয়োগ দিতে তিনি ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের অ্যাটেনডেন্ট নাঈম হোসেন। তিনি অভিযুক্ত কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলামের ভগ্নিপতি।
এসব অভিযোগ এবং তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।’
বিবার্তা/শিহাব/জাহিদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]