শিরোনাম
তিন দফা দাবিতে প্রাথমিকের নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:০৫
তিন দফা দাবিতে প্রাথমিকের নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেও যোগদানে বিলম্ব হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন ৪০ জেলার নিয়োগ প্রত্যাশীরা। দ্রুত যোগদান ও পদায়নসহ তিন দফা দাবিতে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পালন করছেন তারা।


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় সঠিকভাবে কোটা অনুসরণ করা হয়নি অভিযোগ তুলে দেশের ৪০ জেলার মামলা দায়ের করা হয়। এ কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে পাস করা প্রার্থীদের যোগদান ও পদায়ন স্থগিত হয়ে গেছে। তবে দ্রুত তাদের যোগদান সম্পন্ন করতে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় এসে প্রেসক্লাবে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন। হাতে ব্যানার-ফেস্টুন ও মাথায় ফিতা বেঁধে নিয়োগের দাবিতে শতাধিক প্রার্থী এ কর্মসূচি পালন করছেন।


আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. শাওন নাজিউর বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে পাস করেও ৪০ জেলার প্রার্থীদের যোগদান স্থগিত রাখা হয়েছে। একের পর এক আদালতে রিট হচ্ছে আর আমাদের নিয়োগ কার্যক্রম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে। সকল পরীক্ষায় মোকাবিলা করে আমরা পাস করেছি, তার মধ্যে ২০ জেলায় নিয়োগ ও পদায়ন দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বঞ্চিত নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। তার মাধ্যমে দেশের নিয়োগ বঞ্চিত ৪০ জেলার প্রার্থীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধনে যোগ দিয়েছেন। অন্যান্য জেলার ন্যায় ১৬ ফেব্রুয়ারি যোগদান ও পদায়ন দিতে হবে। এ জন্য সরকারের কাছে তিন দফা দাবি তোলা হয়েছে।


দাবিগুলো হলো- দ্রুত নিয়োগ নিশ্চিত করে পদায়ন, মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে যোগদান কার্যকর করা এবং প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরের নিয়োগ বারবার কেন বিলম্বতি হয়- এ বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতার আনা।


দাবি আদায়ে মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বরাবর একটি স্বারকলিপি দেবেন।


জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন আবেদন করেন। গত বছর সারাদেশে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। সারাদেশের মাসব্যাপী মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। সর্বশেষে গত ২৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে ফলাফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে বলা হয়। যোগদান শেষে ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি করা হয়। এরই মধ্যে হাইকোর্ট এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেন।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com