শিরোনাম
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক যেন মরণফাঁদ!
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৪৯
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক যেন মরণফাঁদ!
জাককানইবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটক মহাসড়কের কোল ঘেষে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের একমাত্র ব্যবহৃত সড়কের সংযোগ স্থল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্পিড ব্রেকার এবং সড়ক পারাপারের জন্যে নেই কোনো ফুট ওভার ব্রিজ। ঝুঁকি নিয়েই জিরো পয়েন্ট দিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পরিবহন ব্যবস্থা।


এই সমস্যার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলো আসিফ ও মামুন নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। সেসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত স্পিড ব্রেকার ও ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলে আন্দোলন থেকে ফিরে আসে শিক্ষার্থীরা। দুর্ঘটনার পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও স্পিড ব্রেকার বা ওভার ব্রিজ দুটোর কোনটিই দৃশ্যমান নয়। প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে সেখানে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।


বারবার আশ্বাসের পর আশ্বাস আসলেও কার্যকর ফলাফল দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে একাধিক শিক্ষার্থী। রাতের পরিবেশে এই জায়গা হয়ে উঠে আরো ভয়ানক। মূল ফটকে নেই কোনো আলোর ব্যবস্থা।পাশেই ফেলা হচ্ছে বর্জ্য সেই জায়গা ব্যবহৃত হচ্ছে টয়লেট হিসেবে। ফটক রক্ষণাবেক্ষণে নেই প্রশাসনের নজর। অরক্ষিত ও অনিরাপদ ভাবেই পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।


বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা নিয়ে ময়মনসিংহে যাই। কখন যেন অন্য বাস ট্রাক ধাক্কা দেয় সেই ভয়েই থাকি। এটি যেন আমাদের মরণ ফাঁদ।এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো কিন্তু ফলাফল কিছুই আসেনি। আমরা অনতিবিলম্বে স্পিড ব্রেকার ও ফুট ওভার ব্রিজের বাস্তব রূপ দেখতে চাই।


আরেক শিক্ষার্থী রাজু মিয়া বলেন, এই সড়কে ঘন্টায় গাড়ির গতিবেগ থাকে ৯০-১০০ কি.মি’র উপরে তাই সড়কে দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। আবার আমাদের মূল গেইট এতোই ছোট ও অন্ধকার যে এখানে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান আছে তা বোঝাই যায় না। আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।


এ বিষয়ে প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, এই সমস্যাটিকে আমরাও সমস্যা হিসেবেই দেখছি। এটির সমাধানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে আমরা তৎপর আছি। আশা করি এই সমস্যার সমাধান দ্রুত সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হবে।


বিবার্তা/পাভেল/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com