রাজধানীর গুলশান-১ এলাকার গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে গুলির ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে। গুলির ঘটনায় আহত আমিনুল ইসলাম রোববার মধ্যরাতে মামলা করেন।
এই মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, মনির আহমেদ ও মো. আরিফ হোসেন।
সোমবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী জানান, বিকাশ করে টাকা না দেয়ায় ওমান প্রবাসী আরিফ হোসেনকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশের একটি বিকাশ দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান আলিফ আটকে রাখে।
ফোন পেয়ে মনির আহমেদ ও মিন্টুসহ ৪-৫ ঘটনাস্থলে এসে আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা। কিন্তু দোকানিরা বাধা দিলে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্র বের করে সাত-আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তার ছোড়া গুলিতে আমিনুল ইসলাম নামে একজন গাড়িচালক ও রহিম নামে একজন ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় আরিফ হোসেন, তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন ও মিন্টুকে আটক করা হয়।
রাতেই ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদনসহ আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গতকাল রাতে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, রোববার বিকেল আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে আলফা স্টোর নামে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আরিফ হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করে। বিকাশ করার সময় সে প্রথমে দোকানদারকে বলে আপনি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন আমি টাকা দিচ্ছি। দোকানদার বিকাশ করার পর সে ৭৫ হাজার টাকা আর দিতে পারছে না। যেহেতু সে টাকা দিতে পারছে না, তখন দোকানদার তাকে আটক করে বলে তুমি টাকা না দিয়ে যেতে পারবে না। এক পর্যায়ে আটক অবস্থায় আরিফ তার ভগ্নিপতি মনির আহমেদকে ফোন করে। ফোন পেয়ে মনির হোসেন তার আরও ৪-৫ বন্ধুকে নিয়ে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আসে আরিফকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, টাকা না দিয়ে আরিফকে নিয়ে যাবে বিষয়টি আশপাশের দোকানদাররা প্রতিহত করতে আসে। তখন সব দোকানদাররা বলেন টাকা না দিয়ে আরিফকে নেয়া যাবে না। মনিরের সঙ্গে আসা আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুর সঙ্গে তার লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল। সে তখন সাত-আট রাউন্ড এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা সাতটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছি।
তিনি আরও বলেন, সে যখন এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছিল তখন পাশে একজন গাড়ি চালক আমিনুল ইসলাম যার মালিক গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফেতে এসেছিলেন, সেই চালকের পায়ে গুলি লাগে। আমরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠাই। আব্দুর রহিম নামে আরও একজন ভ্যান চালকের পায়ে গুলি লাগে। এ সময় পাশে টহল দিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুকে অস্ত্রসহ আটক করেন।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]