
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধের ঘটনায় রিকশাচালক আনোয়ার হোসেনের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ১৭ শতাংশ দগ্ধ ছিলো।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন।
এর আগে, ১০ মে ভোর ৫টার দিকে ফতুল্লা পোস্ট অফিস এলাকার একটি টিনসেড বাড়িতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ আনোয়ার হোসেনর বোন ফাতেমা বেগম বিবার্তাকে বলেন, ওইদিন ভোরে আমার ভাই জেগে ছিলেন। তখন বাসায় আমার ভাইয়ের ছেলে রোমান (১৭) ও রোহান (৯) ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণে বাসার ভেতর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। মুহূর্তেই আগুন লেগে যায় তাদের শরীরে। ঘুমন্ত অবস্থা থেকে ছেলেদের তুলে দৌড়ে বাড়ির বাইরে বের হন তিনি। ততক্ষণে তাদের ৪ জনের শরীরই ঝলসে যায়। পরে সবাইকে দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও নিয়ে আসলো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ আমার ভাই মারা যান।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানার নসুনপুর গ্রামের মোঃ নুর ইসলাম সরদারের এর সন্তান। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাইলট স্কুলের পাশে পরিবার নিয়ে থাকতেন। নিহত দুই সন্তানের জনক ছিলেন। নিহত পাঁচ ভাই এক বোন এর মধ্যে সে ছিল মেজ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন বিবার্তাকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে এসেছিল। তাদের মধ্যে মো. আনোয়ার হোসেন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১০টার দিকে মারা যান। তার শরীরে ১৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল। নিহতের স্ত্রী মোছা. রোজিনা আক্তার তার শরীরে ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার ছেলে রুহান ৩৫ শতাংশ দগ্ধ ও রোমান ৬ শতাংশ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রোমান কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দুইজনের অবস্থা ও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
বিবার্তা/বিসি/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]