রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল পাগলের দরবারে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও করব থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার ও গাড়ি ভাঙ্চুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট ৭ জন কে গ্রেফতার করলো পুলিশ।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব।তিনি আরও জানান গত রাতে গ্রেফতার হওয়ায় মো: অপু কাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাব বন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতার কৃত দুইজন হলেন, গোয়ালন্দঘাট থানা এলাকার দিরাজতূল্লাহ মৃধা ডাঙ্গীর মৃত মকলেছুর রহমান মৃধার ছেলে মোঃ হায়াত আলী মৃধা (২৯) ও নতুন পাড়া(মাল্লাপট্টি) এলাকার মোঃ শওকত সরদারের ছেলে মোঃ জীবন সরদার(২২)।

এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে গোয়ালন্দের দেওয়ানপাড়া এলাকার আবজাল সরদারের ছেলে মো: শাফিন সরদার (১৯),বালিয়াডাঙ্গা এলাকার লাল মিয়া মৃধার ছেলে হিরু মৃধা (৪০),দক্ষিণ উজানচর এলাকার আক্কাস মৃধার ছেলে মাসুদ মৃধা (২৯),দেওয়ানপাড়া এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক জনি(৩২) ও কাজীপাড়া এলাকার আরিফ কাজীর ছেলে মো: অপু কাজী(২৫) কে গ্রেফতার করা হয়।এদের মধ্যে

হিরু মৃধা গোয়ালন্দ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মো: মাসুদ মৃধা উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

এর আগে গত শুক্রবার রাতেই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাধা,গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সাড়ে তিন হাজার জন অজ্ঞাত আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য আহত হয়েছেন । বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

সহকারী পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব বলেন, পুলিশের দুইটি গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ নিয়ে মোট ৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।

প্রসঙ্গত, 'শরিয়তবিরোধী কবর' দেওয়ার অভিযোগ তুলে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালায় তৌহিদি জনতা। এ সময় সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলাকারীরা একপর্যায়ে নুরাল পাগলার কবর খুঁড়ে লাশ তুলে এনে মহাসড়কের উপর পুড়িয়ে দেয় তৌহিদি জনতা।

বিবার্তা/মিঠুন/এসএস