ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতে ফার্মেসি বন্ধ, চরম ভোগান্তি রোগীদের
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতে ফার্মেসি বন্ধ, চরম ভোগান্তি রোগীদের
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালের আশপাশে থাকা সব ফার্মেসি রাতে বন্ধ থাকায় জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে এ ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।


জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত অত্যন্ত ব্যস্ততম সরকারি চিকিৎসালয় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল। এর আশপাশে শতাধিক ফার্মেসি রয়েছে। ফার্মেসিগুলো রাত ১১টা থেকে ১২ টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়ে। জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী না পেয়ে রোগীদের অনেক কষ্ট পেতে হয়। ব্যাহত হয় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।


অধিকাংশ ওষুধের দোকানই ১২টার পর বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীরা। তবে হাসপাতালের সামনে দুই একটি ওষুধের দোকান খোলা পাওয়া গেলেও সব ওষুধ পাওয়া যায় না। কিছু ওষুধ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় রোগীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।


সদর উপজেলার সুহিলপুরের রেখা আক্তার জানান, তার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে শারমিন (১৮) গত সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এইদিন দিনগত রাত ২টার দিকে মিতুর পেটে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। কর্তব্যরত ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি এসে দুটো ওষুধ লিখে দিয়ে যান। নার্স স্লিপে লিখে ওষুধ দুটো বাইরের ফার্মেসি থেকে আনতে বলেন। মেয়ে জামাই রুহুল আমিন বাইরের সব ফার্মেসি বন্ধ থাকায় ওষুধ দুটো সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে সারারাত আমার মেয়ে ব্যথায় প্রচণ্ড কষ্ট পায়। সকালে ফার্মেসি খুললে তারা সে ওষুধ সংগ্রহ করে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন ভূইয়া বলেন, রাতে বহিঃবিভাগ বন্ধ থাকায় রোগীদের সরকারি ওষুধ দেওয়া যায়না। কিন্তু দিনে ঠিকই চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের সরকারি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে৷ তবে হাসপাতালের ভর্তি রোগীরা সরকারি ওষুধ পাচ্ছে৷ বিষয়টি আগামী স্বাস্থ্যসেবা মিটিংয়ে উপস্থাপন করব।


রাতে ঔষধের দোকান বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি আজিজুর রহমান সবুজ জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতি ও সার্বিক নিরাপত্তা উপর ভিত্তি করেই গভীর রাতে ওষুধ দোকান বন্ধ থাকে। কিন্তু আশাপাশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা ওষুধের দোকান খোলা থাকে। সেখান থেকে রোগীরা খুব সহজেই ওষুধ নিতে পারবে৷ হাসপাতাল মোড়ের ওষুধ দোকানীরা রোগীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে ওষুধ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।


বিবার্তা/আকঞ্জি/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com