চিলমারী নদী বন্দর ঘাট
দেড়গুন নৌকা ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৬
দেড়গুন নৌকা ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী নদী পথে দেড়গুন বেশি হারে নৌকা ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।


যাত্রীদের অভিযোগ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিব্লউটিএ) এর ইজারাদার কর্তৃক ১০০টাকা ভাড়ার স্থলে নেয়া হচ্ছে ১৫০টাকা, মোটর সাইকেল ভাড়া ১৫০টাকা এবং সেটি ওঠা-নামার জন্য আরও ২০০টাকা। ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও দেখার কেউ নেই বলে সচেতন মহলের দাবি।


জানা গেছে, উপজেলার চিলমারী নদী বন্দর ঘাটটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিব্লউটিএ) এর মাধ্যমে ইজারা দেয়া হলে রেমেলিয়া ট্রেড লিংক নামে একটি প্রতিষ্ঠান ইজারা নেয়। চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে নিয়মিত রৌমারী ও রাজিবপুরের নৌকা ভাড়া নেয়া হত যথাক্রমে ১০০টাকা ও ১২০টাকা। ঈদ উপলক্ষ্যে সড়ক ও রেলপথ যাত্রায় ভীড় ও ব্যয়বহুল হওয়ায় ঢাকা গামী স্বল্প আয়ের অনেক যাত্রী নৌপথে রৌমারী/রাজিবপুর হয়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকা গামী যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিলমারী ঘাট থেকে রৌমারী ও রাজিবপুর নৌকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১৫০টাকা যা পূর্বের ভাড়ার দেড়গুন। পাশাপাশি মোটর সাইকেল ভাড়া ১০০টাকার স্থলে নেয়া হচ্ছে ১৫০টাকা। সেটিও দেড়গুন। নৌকায় উঠাতে ৬০টাকার স্থলে ১০০টাকা এবং নামাতে ১০০টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। এতে নৌপথের যাত্রীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়ার সাথে সাথে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পাড়াপাড়ে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।


সরেজমিনে রবিবার সকালে রমনা ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রমনা ঘাট পয়েন্টে বিআইডিব্লউটিএ এর পন্টুনের উপরে যাত্রীরা লাইনে দাড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করছেন। যাত্রীদের হাতে প্রতিজন ভাড়া ১৫০টাকার টিকেট এবং মোটরসাইকেলের জন্য নেয়া হচ্ছে ১৫০টাকা। এসময় লালমনিরহাট এলাকার সাফায়েত হোসেন, কাচকোল এলাকার নুর মোহাম্মদ, উমানন্দ এলাকার মুকুল মিয়া, খাদেমুল ইসলাম, কাউনিয়া এলাকার আলিফনুর, উলিপুরের নাজমুল, জোড়গাছ এলাকর সাইফুল ইসলাম ইমন ও হৃদয়সহ অনেকে জানান, বাসের ভাড়া বেশি নেয়ায় খরচ বাচাতে নদী পথে এসেছি। এ পথে মাত্র ১০-১২ কি.মি.পথ পারি দিতে মোটর সাইকেলসহ খরচ নেয়া হচ্ছে ৫০০টাকা। তাহলে আমরা যাবো কোন পথে?


এনজিও কর্মি লালমনিরহাট এলাকার সাফায়েত হোসেন দুঃখ করে জানান, যাতায়াত খরচ কমাতে তিনি গাইবান্ধা হয়ে না গিয়ে এ পথে এসেছিলেন। কিন্ত এই পথে এসে তাকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৪০০টাকা। তাহলে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো যাবে কোন পথে? ঈদ পরবর্তী অফিস করার জন্য তারা অল্প ভাড়ায় নদী পথকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু সে পথেও নানা বিড়ম্বনা বলে জানান তিনি।


রেমেলিয়া ট্রেড লিংকের স্বত্বাধিকারী ঘাট ইজারাদার শহীদুল্লাহ কায়সার ইমু বলেন, রাজিবপুরের ভাড়া ১২০টাকা সেখানে নিচ্ছে ১৫০টাকা, রৌমারীর ভাড়া ১০০টাকার জায়গায় নিচ্ছে ১৫০। এটা খুব বেশি নয়। নৌকাগুলো ফেরত আসার সময় খালি আসতে হয় তাই নৌকার মালিকরা ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে। এখানের আমার কিছু নেই, আমি যাত্রি প্রতি ৫টাকা হারে টোল পাই মাত্র।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, যা ভাড়া তাই নিতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি দেখতে ঘাটে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।


বিবার্তা/রাফি/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com