টেকনাফ মৌলভী বাজার ইসলামিক আজিয়া ফয়জুল উলুম হিফজ খানার ছাত্র খায়রুল আমিনকে (১২) অক্ষত অবস্হায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খায়রুল গত শুক্রবার ১৬ জুন সকাল অনুমান ১০টায় তার বন্ধু ফরহাদের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হ্নীলা বাজার থেকে রঙ্গিখালী যেতে চালক আলমের টমটমে উঠে। চলতি পথে পানখালী নামক স্হানে পৌঁছালে খায়রুলের সাথে বন্ধু ফরহাদের দেখা হয়। ফরহাদ খায়রুলকে তার বাসায় যেতে অনুরোধ করে। ফলে খায়রুল এবং ফরহাদ রিজার্ভ টমটমের চালক আলমের পরিচিত অপর আরেকজনের টমটমে ওঠে।
অতঃপর পূর্ব পরিকল্পনা মতে টমটম চালক ও তার অজ্ঞাত সহযোগী এবং ফরহাদ মিলে খায়রুল আমিনকে রঙ্গিখালী পাহাড়ের ঢালায় নিয়ে মূল অপহরণকারীদের হাতে দিয়ে টমটম চালক ফিরে আসে।
গহীন জঙ্গলে থাকা অপহরণকারীরা খায়রুলকে গাছের সাথে হাত বেধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে ভিকটিমের মায়ের মোবাইলে ফোন করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এসময় অপহরণকারীরা জানায়, পুলিশকে জানালে অপহৃত খায়রুলকে মেরে ফেলবে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজ ইসলামের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল ও অফিসার ইনচার্জ টেকনাফ থানার নেতৃত্বে একটি চৌকস অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ভিকটিম খায়রুলকে যাত্রী হিসেবে বহনকারী অপহরণকারীর সোর্স টমটম চালক আলমকে আটক করে।
আটককৃত আলমের দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম খায়রুল আমিনকে অক্ষত অবস্হায় ২১ জুন ভোর ৫টায় গহীন জঙ্গল হতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম জানায়, এ অপহরণে জড়িত সন্দেহে নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আলম (২৭), ইজ্জত আলীর ছেলে মো. হোসেন (৫২), আহম্মদ হোসেনের ছেলে পারভেজ (২০), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আজিজা খাতুনকে (২১) আটক করে পুলিশ।
অপরাপর সহযোগীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলমান রয়েছে।
বিবার্তা/পূণ্যবর্ধন/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]