চৈত্রের শেষের দিকে তীব্র তাপদাহ চলছে। সারাদেশের মতো তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। টানা ১০ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১০ দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এর ফলে গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুল।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই তাপদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের রেকর্ড অনুযায়ী, গত সোমবার জেলায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী, রোববার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি, শনিবার ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি, রোববার ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গায় ১০ দিন ধরে মাঝারি তাপপ্রবাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ জেলায় বইছে মাঝারি তাপদাহ। তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত। আবহাওয়া অফিস বলছে সহজে দেখা মিলছে না বৃষ্টির। সকালে সৃর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা বিরাজ করছে সূর্য একেবারে পাটে পড়ার আগ পর্যন্ত।
চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষকরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছে না কৃষক ও দিনমজুর। রাস্তায় ভাড়া মারতে পারছে না রিকশা-ভ্যানচালকরা। প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে বোরো ধান ও সবজি ক্ষেতে। এতে হাঁপিয়ে উঠছে কৃষকরা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হচ্ছে। গত দশদিন ধরে জেলায় সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দু’তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]