চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনাকবলিত সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ফায়ার সার্ভিস বার বার তাগাদা দিলেও অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
রবিবার (৫ মার্চ) এ তথ্য জানান আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। যার জন্য ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স পরিদর্শনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের মালিককে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বার বার তাগাদা দিয়েছিল।
দুর্ঘটনার কারন জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, শনিবার বিকালে অক্সিজেন রিফুয়েলিংয়ের কাজ করার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা অন্য কোনও কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের অধীনে পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে। তবে নবায়ন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। দুর্ঘটনার পর পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা বিস্তারিত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম বলেন, শনিবার বিস্ফোরণের পর আমরা উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। আজ আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নেব।
বিস্ফোরক অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিদর্শক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘কারখানাটিতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স আছে কিনা তা আমার জানা নেই। লাইসেন্স দেওয়া হয় ঢাকা কার্যালয় থেকে। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তথ্য পাওয়ার পর এ সম্পর্কে জানা যাবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম আজ কাজ করেছে। এ সময় কোনও হতাহত পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ছয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।
বিবার্তা/জাহেদ/জবা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]