বস্ত্র খাতে তুলার চাহিদা মিটাতে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে আসছেন বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন তুলা চাষীদের পাশাপাশি তুলার বীজ সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। তুলা চাষে উদ্ধুদ্ধ হয়ে এবার ঠাকুরগাঁও জেলায় উন্নত মানের হাইব্রীড ডিএম-৪ জাতের তুলার ফলন ও খরচের চেয়ে দ্বিগুন লাভবান হওয়ায় খুশি কৃষকরা। অন্যান্য জাতের তুলার চেয়ে এ জাতের তুলার ফলন ও মান ভালো হওয়ায় ব্যাপক সারা ফেলেছে চাষীদের মাঝে।
বস্ত্র তৈরিতে বিশ্ব বাজারে দিন দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তুলার চাহিদা। দেশে পোশাক তৈরিতে সিংহভাগ তুলা আমদানি করা হচ্ছে বিদেশ থেকে। তাই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর যৌথ উদ্যোগে অধিকাংশ তুলা বাংলাদেশ থেকে উৎপাদন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান বাজারে নিয়ে এসেছে উন্নত হাইব্রীড ডিএম-৪ জাতের তুলার বীজ। যা চাষ করে দ্বিগুন লাভবান হচ্ছেন ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকরা।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, যে জেলায় আগে তুলা চাষ সম্পর্কে মানুষের ধারণাই ছিল না। সেই জেলায় গত ২১-২২ অর্থ বছরে তুলা চাষ হয়েছে উফশী ও হাইব্রীড মিলে ৪২৬ হেক্টর জমিতে ও উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৮১৬ বেল তুলা।
২২-২৩ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ হেক্টর জমি যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা অনুযায়ি বর্তমান মূল্য প্রায় ২৮-৩০ কোটি টাকা।
তুলা চাষী আমান বলেন, ১৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন লাল তীরের হাইব্রীড ডিএম-৪ জাতের তুলা। বিঘায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং বিঘাতেই ফলন হয়েছে ১৬ মণ। বিঘা প্রতি জমিতে লাভ হয়েছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরামর্শে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা পরিত্যাক্ত জমিতে চাষ করেছেন তুলা।
চাষীদের অনেকেই তুলার সাথে অন্যান্য ফলন চাষ করেছেন। এতে এক ফসলের পরিচর্যা ও খরচে দুই ফলস করতে পেরে অর্থনৈতকিভাবে লাভ হচ্ছে। তুলা চাষের সাথে কৃষকরা সাথী ফসলও চাষ করতে পারছেন বলে তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। তুলা বোর্ড কৃষকদের নানা ভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন ও বীজ সরবরাহ করছেন বলে জানান, ঠাকুরগাঁও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ পরিদর্শক স্বদেশ চন্দ্র রায়।
বিবার্তা/মাসুম/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]