চিলমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আশ্রয়ণের টিন আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:১৭
চিলমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আশ্রয়ণের টিন আত্মসাতের অভিযোগ
চিলমারী প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গুচ্ছ গ্রামের ঘরের সুবিধাভোগীদের দেয়া টিন আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আবাসনের ৪০টি ঘরের ভিতরের দরজা দেয়ার জন্য টিন দিয়েছিলেন উপজেলা প্রশাসন। তবে, সেই টিন ফেরত নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।


সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের খেরুয়ারচর এলাকায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে খেরুয়ারচর গুচ্ছ গ্রামে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। ওই গুচ্ছ গ্রামে মাটি ভরাট বাবদ ২০৮ মে. টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, যার আর্থিক মূল্য ছিল ৬০ লাখ টাকার ওপরে। নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হানিফাকে সভাপতি করে কমিটির মাধ্যমে এই মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পে টিন, লোহার এ্যাঙ্গেল ও রড সিমেন্টের সিঁড়ি দিয়ে প্রতি পরিবারের জন্য বারান্দাসহ ১টি ঘর ও টয়লেটসহ ৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রতি ৫ পরিবারের জন্য একটি গোসলখানা ও একটি টিউবওয়েলও দেয়া হয়। এতে প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গুচ্ছ গ্রামে ৪০ পরিবারের আবাসন নির্মাণের জন্য মোট বরাদ্দ দেয়া হয় ৬০ লাখ টাকা।



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুচ্ছ গ্রামে ৪০টি আবাসনের ঘর নির্মাণের পর ওই ঘরের ভিতরের দরজার জন্য একটি করে টিন দেয়া হয়েছিল আশ্রয়ণ বাসীদের। তবে সেই টিন ইউএনও মাহবুবুর রহমানের নাম ভাঙিয়ে নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।


গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা স্বপনা বেগম বলেন, ঘরের ভিতরের দরজার জন্য একটা করে টিন দিয়ে গেছিলো তখনকার ইউএনও স্যার। পরে সেই টিন আমাদের থেকে জমা নেয় সোনাভান বেগম।


ওই আবাসনের বাসিন্দা সোনাভান বেগম বলেন, আমার কাছে জমা রাখা ৫৯টি টিনের মধ্যে ৪৯টি নিয়ে যান নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। বাকি ১০টা টিন ইউএনও স্যার আমার মাদ্রাসায় দেয়।


অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ইউএনও স্যার টিন নিতে বলছে, ৪৮টি টিন আমার কাছে জমা আছে। পরবর্তীতে টিনগুলো মসজিদ মাদ্রাসায় দেয়া হবে।


ইউএনও মাহবুবুর রহমান, আমি কোনো নির্দেশনা দেইনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মাত্র শুনলাম আপনাদের মুখে। তবে এবিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/রাফি/জামাল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com