ঘন কুয়াশায় আবারো ক্ষতির মুখে পড়েছে হিলির কৃষকরা। ভালো ফলনের আশায় আগাম বীজতলা তৈরী করলেও ঘন কুয়াশায় বিবর্ণ আকার ধারন করে মরে যাচ্ছে বোরো বীজতলার চারা।
এতে সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তা পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয় সেজন্য কৃষকদের সবধরনের পরার্মশ দেওয়ায় কথা জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে চারা রোপণের জন্য ৩৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
খাদ্যে শস্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের হিলিতে বোরো রোপণ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে বোরো বীজতলা।
আমনের ফলন ভালো হলেও আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় ইরি-বোরোর ফলন ও ভালো দামের আশায় আগে-ভাগেই বীজতলা তৈরি করেছিল এখানকার কৃষকরা। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি হয়ে দাড়িয়েছে ঘন কুয়াশা।
এ অঞ্চলে সিংহভাগ সময় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে থাকায় বীজতলা বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ইরি-বোরো বীজতলার চারা। বীজতলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না কোন সুফল। ফলে সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার মোল্লা বাজারের কৃষক মাহাবুল বলেন, পাঁচবিঘা জমির জন্য পরপর দুইবার বীজতলা প্রস্তুত করেছি কিন্তু ঘন কুয়াশার জন্য দু’বারই বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আমি ইরি-বোরো ধান লাগানো নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
একই গ্রামের কৃষক ফারহাজুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে কুয়াশা ফেলে দিচ্ছি সেই সাথে কীটনাশক স্প্রে করার পরও বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে। এতে আমি চরম বিপাকে পরেছি।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা জানান, ঘন কুয়াশা ও অতিরিক্ত শীতের কারণে কিছু কিছু বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। তবে এ থেকে উত্তরণের জন্য বীজতলা থেকে পানি বের করা, নতুন করে পানি দেওয়া ও বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়াসহ কৃষি বিভাগ থেকে সবধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিবার্তা/রব্বানী/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]