পঞ্চগড়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার প্রভাবশালীদের চক্করে ভূমিহীন
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:০১
পঞ্চগড়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার প্রভাবশালীদের চক্করে ভূমিহীন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝিপাড়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দাপটে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে ঘর তুলতে পারছে না একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। ওই জমিতে চাষবাসও করতে পারছেন না তারা। শুক্রবার সকালে মাঝিপাড়া বাজারে সাংবাদিকদের সামনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।


তারা জানান, লোহাকাচি মৌজার ১৫১ খতিয়ানের ৫ টি দাগে ২ একর ৫৯ শতক জমির প্রকৃত মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ও তার ভাই আব্দুস সাত্তার। ১৯৫৭ সালে জমিটি তাদের বাবা তাদের নামে কেনেন এবং ভোগ দখল করতে থাকেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয় ফজলুল হক। অভাবের তাড়নায় তার আরেক ভাই আব্দুস সাত্তার চলে যায় সিলেট। এই সুযোগে জমি দখল করে নেয় সেই সময়ের প্রভাবশালীরা। আব্দুস সাত্তার ও ফজলুল হকের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা পৈত্রিক সূত্রে এই জমির মালিক হলেও দীর্ঘদিন থেকে এই জমি দখল করে অবৈধভাবে ভোগ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী সাহেব আলী গং। ২০১৯ সালে এই জমির স্বত্ব দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। তেঁতুলিয়া সহকারী জজ আদালতে মামলা নং ১১/২০১৯ স্বত্ব।


২০২২ সালের জুন মাসে তারা তাদের পক্ষে সত্বের রায়ও পায়। কিন্তু তারপরও জমি ছেড়ে দিচ্ছেনা সাহেব আলী গং। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা শালিশও করে। পরে থানায় বিচার প্রার্থনা করে আবেদনও করা হয়। কিন্তু কাউকে তোয়াক্কা করছেন না প্রভাবশালী ওই মহল। মৃত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, আমরা দিন আনে দিন খাই । মাথা গোজার ঠাঁই নাই। পরের বাড়িতে আছি। নিজের জমি থাকতেও আমরা ভূমিহীন। আমরা কয়েকটি পরিবার খুব কষ্টে আছি। দখলকারীরা আমাদের নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। জমিতে যেতে দেয়না। আদালত রায় দিয়েছে। রায়ের কপি হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।


এ ব্যাপারে সাহেব আলী গং এর সদস্য আয়ুব আলী জানান, রেকর্ড সূত্রে মালিকদের কাছ থেকে আমরা ওই জমি কিনেছি। স্বত্ব মামলা হয়েছে কিনা আমরা জানিনা। আদালতের রায়ের কথাও আমরা জানিনা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশারাফুল ইসলাম জানান আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিক ভাবে শুনেছি। লিখিত আবেদন পেলে আমরা শালিশের উদ্যোগ নিতে পারি।


এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, জমি জায়গার বিষয়গুলো আদালত বুঝে। আমরা আদালতের নির্দেশনা পেলে অবশ্যই আইনগত উদ্যোগ নেবো।


বিবার্তা/বিপ্লব/জেএইচ


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com