
সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ আহরণ ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বনবিভাগ। এ সময়ে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ মে) পূর্ব সুন্দরবনের ডিএফও (বিভাগীয় বনকর্মকর্তা) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তিন মাস সুন্দরবনের জেলেদের মাছ শিকারের পাস-পারমিটও বন্ধ থাকবে। যাতে কেউ মাছ শিকারের আশায় বনে প্রবেশ করতে না পারেন। এরপরও কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বনে অভিযান পরিচালনা করবে।
বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো মাছের প্রজনন বাড়ানো। এ ৩ মাস কোনো প্রকার মাছ আহরণ করা যাবে না। যার ফলে সুন্দরবনের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের যাতায়াতও বন্ধ থাকবে। কারণ বনের অভ্যন্তরের নদী-খালে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল করলে প্রজনন কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।
বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বিশাল মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ২০১৯ সাল থেকে বনবিভাগ প্রতি বছরই নদী-খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ রেখে আসছে। জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এ তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদী, খাল ও বিলে থাকা বেশির ভাগ মাছের ডিম থেকে জন্মায় বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে সুন্দরবনের নদী-খালে যেমন মাছ বাড়বে, তেমনি অন্য প্রাণী ও উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিবার্তা/জাহিদ/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]