
ড্রাগন মুরগি পাওয়া যায় ভিয়েতনামে। মুরগিটি অদ্ভুতদর্শন। এই মুরগিকে ‘ডং তাও’ নামেও ডাকা হয়। মোটা পায়ের এ মুরগির বাণিজ্যিক চাষ হয় ভিয়েতনামে।
দক্ষিণ এশীয় দেশ ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে মুরগিটির নামে। সেখানে সবচেয়ে বেশি ড্রাগন মুরগির ফার্ম রয়েছে।
চন্দ্র নববর্ষে ভিয়েতনামের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার ‘টেট’ বানানোর প্রধান উপকরণ ড্রাগন মুরগি। ঐতিহ্যগতভাবে দেশটির ধনী পরিবারে উৎসবের দিনে এই খাবার পরিবেশন করা হয়।
মুরগিটির শুধু পায়ের ওজনই এক দেড় কেজি পর্যন্ত হয়, যা এর শরীরের মোট ওজনের এক-পঞ্চমাংশ।
একটি মুরগির ওজন ৫-৮ কেজি, কোনো কোনোটি ১০ কেজিও হয়। সবচেয়ে বড় আকারেরগুলো বাজারে ২০০০ হাজার ডলারেও বিক্রি হয়, যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় দুই লাখেরও বেশি।
ড্রাগন মুরগির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর পা। পুরু লালচে আবরণে ঢাকা এই পা লম্বায় হতে পারে একটি ইটের সমান। এর থাবা মানুষের হাতের তালুর আকৃতির।
বড় পা যুক্ত, আকর্ষণীয় চেহারার ড্রাগন মুরগির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।
১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ড্রাগন মুরগি চাষ করছেন লে ভ্যান হিয়েন। তিনি বলেন, এই মুরগিকে দিনের বেশ কিছুটা সময় খোলা পরিবেশে ছেড়ে রাখা হয়।এরা যত বেশি হাঁটে, তত বেশি পায়ের পেশি শক্তিশালী ও বড় হয়। আর মুরগিকে খাবার হিসেবে দেয়া হয় ভুট্টা ও চালের গুড়ো, যা এর মাংশের স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
সূত্র: সিএনএ
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]