
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তার উইকেট কেবল ৪০টি। এর আগে একটি টেস্ট খেলেছিলেন, কিন্তু বল হাতে নেননি। অতঃপর টেস্টে বল হাতে প্রথম দিনই পেয়ে গেলেন চার উইকেট। সেই সাথে ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পেয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস।
একসময় যার পরিচয় ছিল কিপার-ব্যাটসম্যান, সেই তিনিই বল হাতে ৪ উইকেট নিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে। শুনে অনেকে ভ্রু কুঁচকে তাকাতে পারেন। ফিলিপস এখন মোটামুটি নিয়মিতই হাত ঘোরান। টুকটাক উইকেটও পান বটে। তবে তাই বলে এখনই অলরাউন্ডার?
২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ফিলিপস বলেন, ‘আমি বহুদিন ধরে প্রথম টেস্ট উইকেট পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু কখনও ভাবিনি এভাবে উইকেটটা পাবো। আপনারা দেখবেন লেগ স্পিনাররা অনেক সময় খুব ভালো বল করার পর একটা লোপ্পা ফুলটস দিয়ে দেয়। এরপর ব্যাটারদের চোখ বড় হয়ে যায় আর তারা ওটা মারতে গিয়ে আউট হয়।’
ফিলিপসের নিজের অন্তত নিজের বোলিংয়ের প্রতি অনুরাগ প্রবল। একসময় তার মূল পরিচয় ছিল কিপার-ব্যাটসম্যান। তবে স্রেফ এইটুকুতে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি তিনি। ফিল্ডিংয়ে নিজেকে এমনভাবে ঝালিয়ে নিয়েছেন যে, এখন বিশ্বের সেরা ফিল্ডারদের একজন তিনি। কিপার যখন ছিলেন, মাঝেমধ্যে হাত ঘোরাতেন তখনও। পরে ঠিক করেন, বোলিংয়েও হাত পাকাবেন। সেই প্রক্রিয়া চলছে। সীমিত ওভারে তিনি এখন বেশ কার্যকর এক বোলিং বিকল্প। এখন টেস্টেও দেখাচ্ছেন তার ঝলক।
সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে বোলিং সাফল্যের পর সংবাদ সম্মেলনে তার আগের কিপার পরিচয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই হাসতে হাসতে বললেন, “অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছি কিপার-ব্যাটার তকমাটা যেন মুছে ফেলা যায়। আশা করি এই চার উইকেটের পর এই পরিচয়ে কিছুটা সিলগালা বসবে!”
অবশ্য আজকের প্রথম উইকেটটাতে ফিলিপসের চেয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরই অবদান বেশি। এজন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে দাবি করেছেন ফিলিপস, ‘আমি সবসময় ওরকম একটা উইকেট পেতে চাইতাম, কিন্তু এটাকে প্রথম টেস্ট উইকেট হিসেবে না। হয়তো আমরা দ্বিতীয় উইকেটটির সঙ্গে অদল-বদল করে নিতে পারি! আমিও এরকম ফুল টসে আউট হয়েছি, সব ব্যাটারই হয়। আমি শুধু কিছুটা ভাগ্যবান ছিলাম এখানে।’
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]